স্পা সেন্টারের মূন্নীর হাতে নারী সাংবাদিক মুন্নী লাঞ্চিত ! গ্রেফতার দাবী নারী সমিতি ও এলাকাবাসীর

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: ভূমি জবর দখলের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে কিশোরগঞ্জের স্হানীয় নারী সাংবাদিক লান্ছিত হয়েছেন। হোলিষ্টিক স্পা সেন্টারের মালিক পল্লবী মুন্নী, সিরাজ গং এর লাঠিয়াল বাহিনী দ্বারা নারী সাংবাদিক লান্ছিত হওয়ায় এলাকায় চলছে চাপা ক্ষোভ ও উওেজনা। গ্রেফতার দাবী করেছেন নারী সমিতি। ঘটনাটি কিশোরগন্জ সদরের যশোদল কাটাখালি সিকদার সড়কের পাশে । আক্রমণাত্নক ভংগিমায় রান দা হাতে বোরখা আবৃত মহিলার দৃশ্য ধারণ করতে ক্যামেরা এ্যাকশনে গেলে দৈনিক একুশে নিউজ এর সাংবাদিক মুন্নী আক্তার এর উপর চড়াও হন পল্লবী মুন্নীর যুবতী মেয়ে জাহেরা পরমা ও অন্যন্য অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে ভাড়াকরা লাঠিয়াল বাহিনী। জানাগেছে, যশোদল মৌজার মনিপুরঘাট কাটাখালী সিকদার সড়কে এস এ ও আর এস রেকডীয় ২৩ শতাংশ ভূমির মালিক আব্দুল জব্বার খান প্রায় ২৫/৩০ বছর আগে তিন জনের নিকট সাফ কাওলামূলে ২৩ শতাংশ জমি বিক্রয় করে নিঃস্বত্ব হন। তিন ক্রেতা যথাক্রমে পপি এনজিও সাড়ে চার শতাংশ , মৃত ফরিদা খাতুন চৌদ্দ শতাংশ এবং কবিতা নাম্নী অপর একজন সাড়ে চার শতাংশের মালিক। জব্বার খান ও তার ছেলে সিরাজ উদ্দিন খান দলিল অনুযায়ী সরেজমিনের নকশামূলে জমি পরিমাপ ও হস্তান্তর করেন। চৌদ্দ শতাংশের গ্রহীতা তার জীবদ্দশায় তার একমাএ ছেলে কে দক্ষিণ পুর্বাংশে দুই শতাংশ জমি হেবা দলিলমূলে হস্তান্তর করে বাকি ১২ শতাংশ জিম্মায় দিয়ে যান। অবশিষ্ট ত্যাজ্য সম্পওি বার শতাংশে একমাএ ছেলে ঘর বাড়ী করে ভোগ দখলে থাকেন। মৃতের দুই কন্যা সন্তান কে ওয়ারিশ রেখে মারা গেলে তার একমাএ পুএকে দুইমেয়ে খুন, গুম সহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু করে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আদেশে দুইবোনের সম্পওি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ এর মাধ্যমে দুই বার নোটিশ করলে তারা কোন শালিসে বসবেন না আদালতের মাধ্যমে যাবেন বলে জানান। বোনদের করা অধিকাংশ মামলা খারিজ হয়ে গেলে তারা ব্যাক্তিগত আক্রমণে মেতে উঠে। চৌদ্দ শতাংশ জমির মধ্যে ৮ (আট) শতাংশ জমিতে মৃতের ছেলে বাড়ীঘর নির্মাণ করে বসবাস করা অবস্হায় অতি সম্প্রতি মৃতের কন্যা হোলিষ্টিক হেলথ্ কেয়ার স্পা সেন্টারের মালিক নুসরাত জাহান ( পল্লবী মুন্নী) সাবেক মালিক আব্দুল জব্বার খানের ছেলে সিরাজ উদ্দিন খান, সার্ভেয়ার মোঃ আব্দুল আউয়াল ( ভূবিরচরের আউয়াল আমিন) এবং এলাকার কিছু ভূমি সিন্ডিকেট প্রতারক চক্রের আরো ৪/৫ জন সদস্য বিভিন্ন কৌশলে হোলিষ্টিক হেলথ্ কেয়ার স্পা সেন্টারের মালিক নুসরাত জাহান( পল্লবী মুন্নী) একএে মৃত ফরিদা খাতুনের একমাএ ছেলের নিকট থেকে দশলক্ষ টাকা চাঁদা আদায়ের জন্য তার বাড়ীর ভিতর খুঁটি স্হাপন করে । এ নিয়ে মৃতের ছেলে সারওয়ার বাদী হয়ে কিশোরগন্জ এডিএম আদালতে মামলা করেন। মামলা নং ৮০০/২০২৫ ৷ কিশোরগন্জ মডেল থানার সহ উপ পরিদর্শক নিঃ নুরুন্নবী সূমন স্ব স্ব অবস্হানে থাকার নোটিশ জারী করলে ও চক্রটি থেমে নেই। পরদিন মাটি ভরাট করে। পূনরায় কোর্টকে অবগত করালে দ্বিতীয়বার সহ উপ পরিদর্শক নিঃ ২৬/৫/২৫ নোটিশমূলে সতর্কী করেন। হঠাৎ করে ১৬/০৬/২০২৫ খ্রীঃ সোমবার ভোরে এ চক্রটি এবং এলাকার চিন্হিত আরও কিছু প্রতারক শ্রেণির লোক নিয়ে সারওয়ারের জায়গা দখল করে নিয়ে গোডাউন নির্মানের কাজ শুরু করে।এলাকার স্হানীয় লোকজনকে নিয়ে সারওয়ার কাজে বাধার সৃষ্টি করলে সিরাজ মুন্নী গং এর সহিত হাতাহাতি হয়।বড় ধরনের খুনখারাপী হওয়ার উপক্রম হলে খবর পেয়ে সাংবাদিক ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনেন। এক পর্যায়ে রান দা হাতে মহিলার ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক মুন্নী কে ভিডিও ডিলিট করার জন্য ঘুষ সাধলে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। সিরাজ উদ্দিন এর ঈংগিতে মা ও মেয়ে দুইজনে মিলে নারী সাংবাদিক কে দাঁত ও নখ দ্বারা আহত ও লান্ছিত করে। এ ঘটনায় নারী সমিতির সভানেত্রী সালমা আকতার, সম্পাদিকা শিরীণ ইসলাম, সূর্যমুখী সমাজ কল্যাণ ট্রাষ্টের প্রাথমিক সদস্য পান্না আক্তার ও লিলি আক্তার দোলন , কিশোরগঞ্জ রিপোটার্স ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহরাব উদ্দীন জনি , কাটাখালী এলাকার স্হানীয় বাসিন্দা মোঃ শাহজাহান (০১৬০০১৪০২৪২) ও কামরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, তামজিদ হোসেন জোরপূর্বক জায়গা দখল করার হীন চেষ্টাকে অন্যায় এবং নারী সাংবাদিক কে আক্রমণ লান্ছিত করায় তীব্র নিন্দা ও সিন্ডিকেটের গ্রেফতার দাবী করেছেন। উক্ত সিন্ডিকেট সাবেক এডিসি আঃজলিল কে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা আদায় করেছেন বলে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। বর্তমানে ও বড় বাজারের আপ্তাব হোটেলটি এককোটি সাতষট্টি ৬৭ লক্ষটাকায় খরিদ করেছেন যা আদালতে একাধিক মামলা চলছে। বিদেশী যৌনউওেজক সামগ্রীর ডিলার হিসেবে ও মামলাবাজ ভূমি দস্যু সিন্ডিকেটের প্রধান হোতা হিসেবে পরিচিত এই মহিলা সম্পর্কে মনিপুরঘাট এলাকার বাসিন্দা সাফিয়া খাতুন বলেন তিনটি স্বামীকেই মামলায় সাজা দিয়ে অর্থ কামিয়েছে। সব মামলায় সিরাজ স্বাক্ষি হয়। দশটি সিসি ক্যামেরা বাসার আশে পাশে লাগিয়ে রেখেছে। ফলে স্পা সেন্টারের অবৈধ কার্য কলাপ নিয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। তবে তদন্ত হওয়া উচিত। ভূক্তভোগীরা ভূমি সিন্ডিকেট জব্বার খানের বড়পুএ সিরাজ উদ্দিন খান ও পল্লবী মুন্নী গং দের হাত হতে জানমাল রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর, আইন শৃংখলা বাহিনী ও মানবাধিকার কমিশন এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।