চাঁদাবাজী ও ভূমি দখল কিলার স্বপনের নেশা

চাঁদাবাজী ও ভূমি দখল কিলার স্বপনের নেশা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের বিশ্বাস বেতকা এলাকার মৃত সেকান্দার আলীর ছেলে স্বপন মিয়া,যার নাম শুনলে বিশ্বাস বেতকা এলাকার মানুষ ভয়ে আতংকে বসবাস করে। এই স্বপন পরিবারের প্রতিনিয়ত কাজ হচ্ছে মানুষের জমি দখল ও চাঁদাবাজি করা। স্বপনের দ্বারা নির্যাতিত বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে শাহিদ খান বলেন, গত ৮ তারিখে টাঙ্গাইলের সাবালিয়া বটতলা পলিথিন রোডের হান্নান স্যারের বাসা নির্মাণ কাজ চলাকালীন অবস্থায় আমি ও আমার দুই বন্ধুর কাছে স্বপন চাঁদা দাবী করে। এরপর হঠাৎ করে স্বপনের নের্ত্বত্বে পিয়াস,আহাদ,তাহের,চপল ও ফাহাদ সহ আরও কয়েকজন আমাদের উপর হামলা করে।

এরপর আমার সাথে থাকা আল ইমরান ও আব্দুর রহমানকে স্বপনের হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল দ্বারা আঘাত করে। এরপর আমাদের তিনজনকে গুরুতর আহত করে আশেপাশের লোকজন আসা দেখে চলে যায় হুমকি দেয় যে যেখানে পাবে আমাদের মেরে ফেলবে। অপর ভুক্তভোগী আফজাল হোসেন বলেন, এই স্বপনের কারণে আমার ছেলে আজ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে,আমার ছেলে বিনাকারণে স্বপন তার লোকজন দিয়ে মারধর করেছে , আমি মামলা করেও কোন সমাধান পায়নি, আমার ছেলের চিকিৎসা করাতে আমার কয়েক লাখ টাকা খরচ হয়েছে,প্রতি মাসে ঢাকা নিয়ে তাকে থেরাপি দিতে হয়। আমরা বিশ্বাস বেতকা বাসী এই স্বপনের বিচার চাই। আহত আল ইমরান বলেন,আমরা চাঁদা না দেওয়ার কারণে স্বপন ও তার লোকজন আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা করে দেশীয় অস্র নিয়ে , এরপর আমরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি কিন্তু এখন বাড়িতে থাকতে পারিনা এই কিলার স্বপনের বিরুদ্বে মামলা করার কারণে । আমরা বাচতে চাই এই কিলার স্বপনের হাত থেকে , প্রশাসনের কাছে দাবী এই হত্যাকারী ,ভুমিদস্যু স্বপনের বিচার চাই। এরআগে এই স্বপনের নামে অনেক মামলা আছে,২০১৬ সালে নাইন এম এম অস্র সহ ডিবি পুলিশের কাছে আটক হয় পরে জামিনে বের হয় , ২০১২ সালে ১টি জোড়া খুনের মামলায় ২ নাম্বার আসামী এই স্বপন। এই সকল অভিযোগের বিষয়ে স্বপনের মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেস্টা করলে পাওয়া যায়নি।   এই বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীর আহম্মেদ  বলেন,মামলা হয়েছে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।