‘টাকার বিনিময়ে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে হলিউড তারকারা’

‘টাকার বিনিময়ে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে হলিউড তারকারা’

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান সংঘাতের সময় ইউক্রেনকে 'সমর্থন' করতে কিয়েভে যাওয়া হলিউড তারকারা সহানুভূতি থেকে এটি করেননি। এ কাজের জন্য তাদের লাখ লাখ বেতন দেওয়া হয়েছিল বলে। এমনটাই বললেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান।

স্থানীয় সময় শনিবার (১ মার্চ) হাঙ্গেরির সম্প্রচারমাধ্যম টিভি২-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওরবান বলেন, বিদেশে রাজনৈতিক প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য ওয়াশিংটনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া - ইউএসএআইডি'র অর্থ দিয়ে তারকাদের কিয়েভ সফরের খরচ বহন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জনগণকে তাদের (ইউক্রেনের পক্ষে) মতামতের জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে, আমি বড় বড় সেলিব্রিটি এবং চলচ্চিত্র তারকাদের কথা বলছি। তাদের ইউক্রেনে যাওয়ার জন্য অর্থ দেওয়া হয়েছিল। তারা হৃদয় থেকে বা ইউক্রেনীয়দের প্রতি সহানুভূতি থেকে এটি করেনি - তাদের অর্থ দেওয়া হয়েছিল বলে।

কারও নাম উল্লেখ না করে এই প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, তারকারা যে অর্থ পেয়েছেন, তার পরিমাণ 'মিলিয়ন ইউরো বা ডলার'।

তিন বছর আগে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে সংঘাত বৃদ্ধির পর থেকে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, শন পেন, বেন স্টিলার এবং অরল্যান্ডো ব্লুম ইউক্রেন সফর করা সবচেয়ে বিশিষ্ট পশ্চিমা সেলিব্রিটিদের মধ্যে ছিলেন। আরও অনেক তারকাকে কিয়েভের পক্ষে সাফাই গাইতে দেখা যায়।

গত মাসের গোড়ার দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হওয়া নথিতে দেখা গেছে, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ২০২২ সালের এপ্রিলে ইউক্রেনের লভিভ শহর ভ্রমণের জন্য ২০ মিলিয়ন ডলার পেয়েছেন। এছাড়া পেন, স্টিলার এবং ব্লুমকে যথাক্রমে ৫ মিলিয়ন, ৪ মিলিয়ন ডলার এবং ৮ মিলিয়ন ডলারের চেক লিখে দিয়েছে ইউএসএআইডি।

যদিও স্টিলার এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এগুলো রুশ গণমাধ্যম থেকে আসা মিথ্যাচার।

এছাড়া পেনের আইনজীবী বলেন, ইউক্রেনের নেতা ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ইউএসএআইডি তার মক্কেলকে অর্থ দিয়েছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং বেপরোয়া।

এএফপি ও রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তাদের ফ্যাক্ট-চেকিং টিম জানতে পেরেছে যে, তারকারা ইউএসএআইডির অর্থ পাচ্ছেন বলে যে দাবি করা হয়েছে, তা একটি বানোয়াট ভিডিও থেকে এসেছে।

ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউএসএআইডির বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অদক্ষতার অভিযোগ এনে এর বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করেন। তিনি সংস্থাটির ওপর ৯০ দিনের জন্য তহবিল স্থগিত করেন এবং এর কর্মসূচির তদারকি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে হস্তান্তর করেন।

অপরদিকে, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বলেন, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে ইউএসএআইডি'র কার্যক্রম পশ্চিমা বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্নীতি কেলেঙ্কারি হতে পারে।