মাদক সেবনের টাকা সংগ্রহের জন্য ২ বন্ধু মিলে অপর বন্ধুকে খুন

সৈকত বাড়ৈ : মাদক সেবনের টাকা সংগ্রহের জন্য দুই বন্ধু মিলে পরিকল্পিতভাবে তাদের অপর বন্ধু হাসান প্যাদাকে হত্যা করে ডোবার কচুরিপানার মধ্যে লাশ গোপন করেছিলো। ক্লুলেস এ মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারী সাকিব ও মুন্নাকে গ্রেপ্তারসহ হত্যার কাজে ব্যবহৃত মালামাল ও মোবাইল ফোন উদ্ধারের মাধ্যমে হাসান হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সোমবার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেল সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নগরীর এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির সিকদার জানিয়েছেন, চাঞ্চল্যকর এ মামলার গ্রেপ্তারকৃতরা হলো জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামের বাসিন্দা হারুন সরদারের ছেলে সাকিব সরদার (২০) ও নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজালাল সড়কের ভাড়াটিয়া চানমিয়া হাওলাদারের ছেলে মুন্না হাওলাদার (২১)। হত্যার শিকার হাসান প্যাদা (৩০) বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশার বকসির চর লাকুটিয়া এলাকার বাসিন্দা খোকন প্যাদার ছেলে। ওসি জাকির সিকদার বলেন, গত ৫ এপ্রিল বেলা বারোটার দিকে নগরীর বাঘিয়া এলাকার একটি কচুরিপানা ভর্তি ডোবা থেকে অজ্ঞাতনামা এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানার এসআই মহিউদ্দিন আজাদ বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে উদ্ধার হওয়া মরদেহটি হাসান প্যাদার বলে তার স্ত্রী ও মা শনাক্ত করেন।