বন্যহাতিকে ফলোআপ চিকিৎসা দিয়েছে শেরপুরের বন বিভাগ

May 18, 2025 - 21:02
 0  25
বন্যহাতিকে ফলোআপ চিকিৎসা দিয়েছে শেরপুরের বন বিভাগ

ফারুক হোসেন শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ে ১০/১২ বছরের অসুস্থ একটি মাদি বন্যহাতিকে ১৭ দিন পর আবার ফলোআপ চিকিৎসা দিয়েছে বন বিভাগ।উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের সমশ্চুড়া এলাকার গারো পাহাড়ের অভ্যন্তরে ওই চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এর আগে গত ১ মে নয়াবিল ইউনিয়নের দাওধারা কাটাবাড়ি এলাকার গহীন জঙ্গলে এই অসুস্থ হাতিটিকে প্রথম চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছিল। বন বিভাগ সুত্র জানায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ি এলাকায় প্রায় শতাধিক বন্যহাতি কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে আনাগোনা করছিল। এসব বন্যহাতি খাদ্যের সন্ধানে কখনো ধানক্ষেতে কখনো বা লোকালয়ে হামলা করে আসছে। ফসল ও বসতবাড়ি রক্ষা করতে গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলে। আবার কেউ কেউ ধানক্ষেতে জেনারেটর বা বৈদ্যুতিক তার দিয়ে ফাঁদ পেতে ক্ষুধার্ত হাতিগুলোকে নিভৃত করতে চেষ্টা করে। এসব নিয়ে মাঝে মধ্যেই মানুষ ও বন্যহাতির মধ্যে দ্বদ্ধ তৈরি হয়। কখনো বা বন্যহাতিকে কিছু অসাধু মানুষ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। গারো পাহাড়ে এমনই এক অসুস্থ বন্যহাতির সন্ধান পায় বন বিভাগ।

পরে ওই অসুস্থ হাতিটির চিকিৎসা শুরু করে বন কর্মকর্তারা।হাতির চিকিৎসার মেডিকেল টিমের প্রধান চিকিৎসক গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রায় ৩/৪ মাস আগে বল্লম জাতীয় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ওই হাতিকে আঘাত করা হয়েছিল। এর ফলে ৩/৪ ইঞ্চি দৈর্ঘের ওই আঘাতের গভীরতা হয় প্রায় ৬ ইঞ্চির মতো। এই আঘাতের কারনে হাতিটি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তার দেহের মেজর টিস্যু ডেমেজ হয়ে যায়। তিনি জানান, প্রথম চিকিৎসার পর আবার পাহাড়ে এসে ওই হাতিকে অজ্ঞান করে আঘাতপ্রাপ্ত স্থান পুণরায় ড্রেসিং করে তার দেহে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে চিকিৎসাসেবা দিয়ে বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আগের চেয়ে এখন অবস্থা বেশ উন্নতির দিকে। আশা করা হচ্ছে খুব দ্রুতই হাতিটি সুস্থ হয়ে উঠবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডাক্তার সাকিব হোসেন সাগর, গাজীপুর সাফারি পার্কের ল্যাব টেকনিশিয়ান আতিকুল ইসলাম ভুইয়া, সহকারী টেকনিশিয়ান মোস্তফা কামাল, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. শাহিন কবির, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আমীন, মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী, সমশ্চুড়া বনবিট কর্মকর্তা কাউছার হোসেনসহ অন্যান্য বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow