সাতক্ষীরা শহরের পিসি চন্দ্র জুয়েলার্সের মালিকের বাড়ির গ্রীলের তালা ভেঙে ৬৫ ভরি সোনার গহনা ও নগদটাকাসহ সোয়া এক কোটি টাকার মালামাল লুট
মোঃ কামাল উদ্দিন সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা শহরের শহীদ নাজমুল স্মরনীর জুয়েলারী ব্যবসায়ি পিপি চন্দ্র জুয়েলার্সের স্বতাধিকারী গৌতম চন্দ্রের বাড়ির গ্রীলের তালা ভেঙে ঘরে ঘরে ঢুকে সিন্ধুক ও পোশাকের আলমারি (ওয়ারড্রপ) ভেঙে ৬৫ ভরি সোনার গহনা ও দেড় লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর শহরের উত্তর কাটিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বুধবার দুপুরে পরিবারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরের উত্তর কাটিয়া’র প্রিতম চন্দ্র জানান, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে শহরের স্পন্দন ডায়গোনেস্টিক সেন্টারের ডাঃ আব্দুর রহমানের কাছে যান। তার মা কৃষ্ণা চন্দ্র, বাবা গৌতম চন্দ্র, বোন প্রতি চন্দ্র ও ভগ্নিপতি সৌরভ দেবনাথ ও তার (প্রীতম) স্ত্রীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়িতে ও মূল দরজার ফটকে তালা লাগিয়ে দুর্গা প্রতিমা দেখতে বের হন। ক্লিনিকে কয়েকটি প্যাথালজিকাল টেস্ট করতে দিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি বাড়িতে ফিরে মূল ফটকে তালা লাগানো দেখে বড় বাজারের দুর্গা মন্দিরে অবস্থানরত বোন ও ভগ্নিপতির সঙ্গে দেখা করেন। একপর্যায়ে তারা সকলে রাত সাতটার পরপরই বাড়ির সামনে কাটিয়া দুর্গা মন্দিরে চলে আসেন। এ সময় জেলা প্রশাসক মহোদয় বক্তব্য রাখছিলেন। সেখানে প্রতিমা দর্শণ শেষে কয়েকটি ছবি তুলে মা, বোন ও তার স্ত্রী ব্যতীত সকলেই বাড়ি ফিরে আসেন। এ সময় তারা বাড়ির মূল ফটকের তালাসহ বাড়ির গ্রীলের দুটি তালা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। এরপর ঘরের ভিতরে চারটি রুমের মধ্যে আলমারিসহ লোহার তৈরি সিন্ধুকের তালা ভাঙা অবস্থায় দেখেন। পাশেই বাড়ির ব্যবহৃত একটি লোহার শাবল পড়ে ছিল। প্রায় সবক’টি ঘরের জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা ছিল। পরে তারা জানতে পারেন যে, বোনের ২৭ ভরি সোনার গহনা ও নিজেদের ৩৮ ভরি সোনার গহনাসহ মোট ৬৫ ভরি সোনার গহনা সিন্ধুক ভেঙে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। যার বাজার মূল্য এক কোটি ১৭ লাখ টাকা। একইসাথে তারা পোশাকের আলমারি ভেঙে নগদ দেড় লাখ টাকা নিয়ে গেছে। সবমিলিয়ে দুর্বৃত্তদের লুটকৃত নগদ টাকা ও সোনার গহনার মূল্য এ কোটি সাড়ে ১৮ লাখ টাকা বলে তিনি জানান। খবর পেয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। প্রিতম অভিযোগ করে আরো বলেন, কাটিয়া দুর্গা মন্দির থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে তাদের বাড়ি। মন্দিরে যখন পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অবসন্থান করছিলেন সে সময়ই এ লুটপাটের ঘটনা ঘটলো। এটা দুর্ভাগ্য। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শামিনুল হক জানান, এ ব্যাপারে গৃহকর্তা গৌতম চন্দ্রের স্ত্রী কৃষ্ণা চন্দ্র বাদি হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে আজ বুধবার দুপুরে থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেছেন। তিনি আরো জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা চলছে। তারিখ-০১.১০.২৫
What's Your Reaction?