শেরপুরের নদীগুলোতে পাহাড়ি ঢলে বন্যার হুমকীতে বাঁধ

May 20, 2025 - 19:59
 0  31
শেরপুরের নদীগুলোতে পাহাড়ি ঢলে বন্যার হুমকীতে বাঁধ

ফারুক হোসেন শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: মুষলধারে ভারী বর্ষণের ফলে সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরের সবক’টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বন্যার শঙ্কায় পড়েছেন নতী তীরবর্তী আশপাশের বেশকিছু গ্রাম। একটি নদীর পানি ইতিমধ্যেই দুই দফায় বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। তবে অন্যান্য নদীর পানি এখনো বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।বিকেল পর্যন্ত শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শেরপুরের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ, ঝিনাইগাতি উপজেলার মহারশি ও সোমেশরী নদী, নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদীর নাকুগাঁও এবং নালিতাবাড়ী পয়েন্টের পানি এখনো বিপদ সীমার নিচে রয়েছে। তবে দুই দফায় এ উপজেলার চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।ভারতের মেঘালয়ে ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় সকাল থেকে পাহাড়ি নদী চেল্লাখালীতে ঢলের তীব্রতা বেড়েছে। যে কোন মুহূর্তে চেল্লাখালী নদীর বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ভেঙে আশপাশের গ্রাম আকস্মিক বন্যা কবলিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষ করে, চেল্লাখালী ও ভোগাই নদীর তীর ভেঙে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে নদী দুটোর বাঁধ বেশ ঝুঁকিতে রয়েছে। পাহাড়ি ঢলের তোড়ে যে কোন সময় বিধ্বস্ত হয়ে ঢলের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করার শঙ্কায় নদী তীরের বাসিন্দারা। ঝুঁকিতে রয়েছে মহারশি নদীর তীরের বাসিন্দারাও।পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী গেল অক্টোবরের ভয়াবহ বন্যায় বিধ্বস্ত ভোগাই, চেল্লাখালী ও মহারশি নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। ফলে ওইসব বাঁধও রয়েছে ঝুঁকিতে।এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আগাম বন্যার আভাস দেওয়ায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রশাসন আকস্মিক বন্যা মোকাবেলায় সবধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছেন। স্বেচ্ছাসেবী, বন্যাকবলিত হয়ে পড়লে দূর্গতদের উদ্ধারে ইঞ্জিন চালিত নৌকা, শুকনা খাবার ও কন্ট্রোল রুমসহ নানা প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আখিনুজ্জামান জানান, বিগত অক্টোবরের বন্যায় বিধ্বস্ত বাঁধসমূহের নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। এরমধ্যে এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মহারশি নদীর বাঁধ নির্মাণের কাজ বন্ধ থাকলেও তা পুনরায় শুরু করার চেষ্টা চলছে।ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ী সীমান্তবর্তী এ দুই উপজেলার সবক’টি পাহাড়ি নদীর বাঁধ দ্রুত ও টেকসই নির্মাণসহ আকস্মিক বন্যা মোকাবেলায় সবধরণের সহায়তার দাবী সংশ্লিষ্টদের।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow