মীরসরাইয়ের চরাঞ্চলে তরমুজের বাম্পার ফলন

মীরসরাই,চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃমীরসরাইয়ের চরাঞ্চলে তরমুজের বাম্পার ফলন এবং ভালো দাম পাওয়ায় খুশি মীরসরাইয়ের তরমুজ চাষিরা। কেউ ক্ষেত থেকেই পাইকারী দরে তরমুজ বিক্রি করছেন আবার কেউবা ট্রাক ভর্তি করে চট্টগ্রাম ফলমন্ডিতে নিয়ে ভালো দামে বিক্রি করছেন। উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হচ্ছেন তারা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ বেশি হওয়ায় ফলন নিয়ে সন্তুষ্ট কৃষি বিভাগ। উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নে সুবর্ণচর থেকে আসা কৃষক সিরাজুল ইসলামসহ কিছু কৃষক ১৪৪ একর জমিতে তরমুজের আবাদ শুরু করেন। আমন কাটার পর পরই এ ভূমিতে তরমুজের চাষ শুরু হয়। এছাড়াও উপজেলার সাহেরখালী, মঘাদিয়া ও হিঙ্গুলী,কাটাছরা ইউনিয়নে আট একর পরিমাণ জমিতে ৬ জন কৃষক তরমুজের আবাদ করে লাভবান হয়েছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় আবাদে ঝুঁকছে এখানকার কৃষকরা।
প্রতি বছর রবি মৌসুমে উপজেলার ইছাখালী, মঘাদিয়া, মায়ানী ও সাহেরখালী ইউনিয়নে চরের অধিকাংশ জায়গা খালি পড়ে থাকতো। দোঁআশ মাটি ও উপযুক্ত পরিবেশ হওয়ায় ২০২২ সালে সিরাজ নামে একজন তরমুজ চাষের উদ্যোগ নেন। প্রথমে তারা মাটি ল্যাবে পরীক্ষা করেন। স্থানীয়দের থেকে ৩ মাসের জন্য প্রতি একর জমি ১৫ হাজার টাকায় বর্গা নেন। সেই জমিতে তারা তরমুজের বীজ বপন করেন। অর্থনৈতিক ভাবে বেকার যুবক ও কৃষককে স্বাবলম্বী করে তুলতে তরমুজ চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় ও ভালো দাম পাওয়ায় তরমুজ আবাদে ঝুঁকছে এখানকার অনেক কৃষক।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, মীরসরাইয়ে এবার ১২০০ একর জমিতে আবাদ হয়েছে। তরমুজ চাষে পরিশ্রম বেশি হলেও ৩ গুণ বেশি লাভ হয়। সুবর্ণচর উপজেলার চাষিরা এখানে তরমুজ চাষ করছেন। আবহাওয়া এবং বাজারে দাম ভালো থাকলে ৩৫-৪০ হাজার মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় শত কোটি টাকা।