সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য শেরপুরের ইকোপার্ক নিয়ে নতুন পরিকল্পনা

সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য শেরপুরের ইকোপার্ক নিয়ে নতুন পরিকল্পনা

ফারুক হোসেন শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি শেরপুরের নালিতাবাড়ীর মধুটিলা ইকোপার্ক। এখানকার শাল-গজারি আর নানা প্রজাতির গাছগাছালি ঘেরা উঁচু-নিচু টিলা ও পাহাড় ভ্রমণপিপাসুদের মন সহজেই কেড়ে নেয়। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করে এই ইকোপার্কটিকে আরও আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে ‘মধুটিলা ইকোপার্কে সমন্বিত সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণয়নে উপ-আঞ্চলিক কর্মশালা দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন কেন্দ্রীয় সার্কেলের প্রধান বন সংরক্ষক এএসএম জহির উদ্দিন আকন। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইকোপার্ক বিশেষজ্ঞ ড. মুহাম্মদ আবু সায়েদ আরফিন খান। সুফল প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আব্রাহাম হোসাইন ও উপদেষ্টা জহির উদ্দিন আহমেদ। কর্মশালায় মতামত পেশ করেন আনন্দমোহন কলেজের অধ্যাপক দেবাশীষ চন্দ্র রায়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কাজী কামরুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাইদুর রশিদ, ময়মনসিংহের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (সাবেক) একেএম রুহুল আমিন খান ও ইকোপার্কের ইজারাদার মজিবুর রহমান প্রমুখ।ইকোপার্কে আসা-যাওয়ার রাস্তা প্রশস্ত করার এবং পার্কের ভেতরে টুরিস্ট পুলিশ নিয়োগসহ পর্যটকদের সুষ্ঠু নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রস্তাব করা হয়। ইজারাদার মজিবুর রহমান মধুটিলা ইকোপার্কের বিভিন্ন উন্নয়নের প্রস্তাব তুলে ধরেন, এগুলো বাস্তবায়ন হলে পর্যটকদের সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। শেরপুর জেলা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁওয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েে রয়েছে সরকারি মধুটিলা ইকোপার্ক।মধুটিলা ইকোপার্কে শোভা বর্ধনকারী ও বিরল প্রজাতির বৃক্ষের বনায়নের পাশাপাশি আছে বিশ একরের ঔষধি বৃক্ষের বনায়ন।