খাবারের পাশাপাশি নয়াদামান রেস্টুরেন্টের পরিবেশেও নজর ভোজন রসিকদের

জামালপুর জেলা শহরের বাইরে ভালো মানের কোন রেস্টুরেন্ট নেই বললেই চলে।দেখা যেতো না সাজানো-গোছানো ও নান্দনিক পরিবেশের রেস্টুরেন্ট। সময় গড়ানোর সাথে সাথে মাদারগঞ্জের শ্যামগঞ্জ কালীবাড়ি এলাকায় প্রধান সড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে ব্যতিক্রমধর্মী অত্যাধুনিক রেস্টুরেন্ট " নয়াদামান" । দেশি-বিদেশি সব মুখরোচক খাবারের সাথে এইসব রেস্টুরেন্টের অত্যাধুনিক ও নান্দনিক পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে এবং সেই সাথে উপহার দিবে এক অন্যরকম অনুভূতি। মানুষের দৈনন্দিন ও মৌলিক চাহিদার তালিকায় প্রথমেই রয়েছে খাবার। আর তাই খাবারের প্রতি মানুষের আগ্রহ একটু বেশি। ছোট-বড় সকলেরই খাবারের প্রতি রয়েছে ভিন্ন রকমের পছন্দ এবং ভালো লাগা।
রেস্টুরেন্ট এখন উদর পূর্তির পাশাপাশি বেড়ানো ও বিনোদনের স্থান হিসেবে জনপ্রিয় হচ্ছে। বিভিন্ন দিবস উদযাপন ছাড়াও পারিবারিক অনুষ্ঠান পালন এবং নানা উপলক্ষ্যে এখন পরিবার নিয়ে মানুষ রেস্টুরেন্টের ভিন্ন স্বাদের খাবার খেতে পছন্দ করেন। সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভোজন রসিকদের আস্থা অর্জন করতে পারায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মাদারগঞ্জের শ্যামগঞ্জ কালিবাড়ি এলাকায় নান্দনিক পরিবেশের রেস্টুরেন্ট " নয়াদামান" । প্রতিদিন এইসব রেস্টুরেন্টে নানা বয়সী নারী-পুরুষের সমাগম হয়। পহেলা বৈশাখের দিনেই নয়াদামানে যেন উপচে পড়া ভীড়। নয়াদামান রেস্টুরেন্টের খাবারের মান উন্নত ও দামে কম হওয়ায় ইতিমধ্যেই জেলাজুড়ে বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছেন। নয়াদামানে আসা ফারিয়া রহমান বলেন, নয়াদামানের নাম অনেকবার শুনেছি। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এসেছি। এসেই নয়াদামানের পরিবেশ দেখেই প্রথমে মুগ্ধ হয়েছি। এছাড়াও সুস্বাদু সব খাবার আমাকে আকৃষ্ট করেছে। বারবার আসবো ইনশাআল্লাহ। পরিবার নিয়ে দুপুরের খাবার খেতে আসা নাজমুল ইসলাম বলেন, চমৎকার পরিবেশে খাবার পরিবেশন করা হয়। খাবারের মানও খুব ভালো। শহরের নামি দামি রেস্টুরেন্টের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। নয়াদামান এর সত্ত্বাধিকারী মোঃ মশিউর রহমান জানান, মানুষের খাদ্যাভাসের দ্রুত পরিবর্তন, খাদ্য পরিবেশনের ধরন ও ধারণাকে মাথায় রেখে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশকে প্রধান্য দিয়ে ও মুখোরচক খাবার নিয়ে আমরা ইদুল ফিতর থেকে আমরা কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে শুরু করি এই পথচলা। শুরু থেকেই খাবারের মান ধরে রেখেছে রেস্টুরেন্টটি। খাবারের মেন্যুতে হাওরের সব সময় ভালো ও উন্নত মানের খাবার থাকে। সেই সাথে যে কেউ রেস্টুরেন্টে আসলে প্রাকৃতিক পরিবেশ তাকে মুগ্ধ করবেই। আমরা রেস্টুরেন্টে আসা আগত অতিথিদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। আরেকজন সত্বাধিকারী তুফায়েল বলেন, শেফ দ্বারা চাইনিজ, থাই, ম্যাক্সিকান, ইটালিয়ান, বাংলা, ইন্ডিয়ান খাবার ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কিচেনে রান্না করা হয়। আমরা সর্ব্বোচ গুরুত্ব দিচ্ছি খাবারের মানে। শতাধিক খাবারের আইটেম নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করেছি। আমরা চাই সুস্বাদু খাবারের পাশাপাশি ক্রেতারা যেন সুন্দর একটি পরিবেশে কিছু সময় কাটাতে পারেন। রুচিশীল পরিবেশে ও উন্নত খাবারের পরিবেশন তরুণ প্রজন্মকে টানতে শুরু করেছে নয়াদামান । শুরু থেকেই নয়াদামানের একটা উদ্দেশ্য ছিল খাবারের আসল স্বাদটা দেয়ার। সেটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েই এগিয়ে চলছে মাদারগঞ্জের অন্যতম রেস্টুরেন্ট " নয়াদামান "। মেহেদী হাসান জামালপুর। ১৪-০৪-২০২৫