২০২৫ ভোটার হালনাগাদে পুরাতন নতুন রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তি না করণে স্থানীয়দের অভিযোগ দায়ের ইউএনও মহোদয় নিকট

২০২৫ ভোটার হালনাগাদে পুরাতন নতুন রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তি না করণে স্থানীয়দের অভিযোগ দায়ের ইউএনও মহোদয় নিকট

সারা দেশে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম। সে ব্যতিক্রমে ৩নং ঘুমধুম ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডে রেজু বরইতলীতে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়। গত ২০ শে জানুয়ারি থেকে শুরু হতে পরবর্তী ভোটার হালনাগার শেষ হয়ে, ভোটার হালনাগাদ তালিকায় রোহিঙ্গাদের নাম। এতে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় কৌশলে ভোটার হতে তৎপরতা শুরু করেছে রোহিঙ্গারা। এতে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করছে পুরাতন রোহিঙ্গারা। তারাই মূলত নতুন রোহিঙ্গাদের কৌশলে নাম পরিচয় গোপন করে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ভোটার হতে সহায়তা করছে।

এছাড়া পুরাতন ভোটার হয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের ছেলে-মেয়েরা অবাধে ভোটার তালিকায় নাম উঠানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বলে জানান স্থানীয় সচেতন ছাত্র ও যুব সমাজ। তাই দ্রত সকল পুরাতন রোহিঙ্গাদের তালিকা করে তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র বাতিল করে হালনাগাদ ভোটার কার্যক্রমে কোন ভাবেই যেন রোহিঙ্গা ভোটার হতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর হওয়ার উদ্যেগ নেন স্থানীয় ছাত্র ও যুব সমাজ মহল। স্থানীয় সচেতন ছাত্র ও যুব সমাজ জানায়; এখন থেকেই অনেক পুরাতন রোহিঙ্গারা কৌশলে তাদের অনেক আত্মীয় স্বজনকে ভোটার করার জন্য কৌশলে দালাল ধরে জন্মনিবন্ধন, জাতীয়তা সনদপত্র, বিশেষ প্রত্যায়নপত্র সংগ্রহ করছে। ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের অনুবলে প্রতিনিধির সুবিধা নেওয়ার জন্য রোহিঙ্গাদের অনেক জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোহিঙ্গারা টাকার বিনিময়ে এবং আত্মীয়তার সুবাদে স্থানীয় লোকজনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ভাড়া নিয়ে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করাসহ ভোটার হচ্ছে। অনেকের বিরুদ্ধে অতীতে মামলা হলেও এখনো তারা ধরাছোঁয়ার বাহিরে, তাহাদের এনআইডি কার্ড ব্যবহারও হচ্ছে সরকারি বিভিন্ন কার্যক্রমে। গত ২০শে জানুয়ারি থেকে এলাকায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সেখানে তারা জন্মনিবন্ধন, জাতীয় সনদপত্র, প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করছে। এখানে অনেক রোহিঙ্গা রয়েছে। তার মধ্যে অনেক পুরাতন রোহিঙ্গাদের আত্মীয়স্বজন ও সন্তানাদি। আবার কিছু রোহিঙ্গাদের সহায়তা করছে স্থানীয় মানুষ। টাকার লোভে টাকা অনেক রোহিঙ্গাদের নিজেদের আত্মীয় স্বজন এবং ছেলেমেয়ে পরিচয় দিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ভোটার হালনাগাদে অন্তর্ভুক্ত না করণে স্থানীয় সচেতন ছাত্র ও যুব সমাজ নাইক্ষ্যংছড়ি ইউএনও মহোদয়ের নিকট অভিযোগ জমা দেন। ঘুমধুম ইউনিয়নের ০৯নং ওয়ার্ডের স্থানীয় সচেতন ছাত্র সমাজ আরও জানায়, (ক) ঘুমধুম ইউনিয়নের ০৯নং ওয়ার্ডের যে রোহিঙ্গা পরিবারটি সব চেয়ে মারাত্মক; সেই পরিববার টি সম্ভবত ২০০৯-২০১১সালের দিকে দীনেশ বড়ুয়া ও মংলা প্রু তংচংগ্যা নামে দু'ব্যক্তিকে হত্যা চেষ্টায় চালায়। দীনেশ বড়ুয়া নামক ব্যক্তিকে মাথায় গাছ কাটার দা দিয়ে কুপ দেয়। তাৎক্ষণিক লোকজন ভিড় হওয়াতে সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা পালিয়ে যায়। (খ) ২০২০ সালের ফেব্রুযারি মাসে বরইতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনির ছাত্রী রেশমা আক্তার তার (সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা) শালীর সন্তান (রাসেল) দ্বারা ধর্ষণ করায়। কে ধর্ষণ করেছে বলে দেবে মনে করে রেশমা আক্তার কে হত্যা করে। (গ) স্মারক নং- ৬৩৫১(৪)১, তারিখ ৩১/১২/২০২০ইং তারিখে এজাহার কৃত রোহিঙ্গা ভোটার বাতিল মামলায় তৎকালীন বিএনপি সমর্থিত রোহিঙ্গাদের নাম এজাহার ভুক্ত হইলেও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পা-চাটা রোহিঙ্গাদের নাম এজাহারের বাহিরে। পরে মামলা তদন্ত আসলে স্থানীয় ২/৪ জন তাঁহাকে রোহিঙ্গা বলে জানালে, এলাকার লীগের নেতা কেতা রোহিঙ্গা নই মর্মে সাক্ষাৎকার দেন। ঠিক ২/৩ দিন যারা রোহিঙ্গা বলে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলো তাদের কে আওয়ামী লীগের দোসর দের দিয়ে নানান হুমকি দমকি দেন। এসব স্থানীয়দের রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলা দেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় সচেতন মহল। স্থানীয় সচেতন ছাত্র ও যুব সমাজ জানায়, অনেক রোহিঙ্গা এখন রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে অনেক বেশি প্রতিষ্টিত। তাদের বিপক্ষে বলার মত লোক নাই।