শেরপুরের পাহাড়ি এলাকায় বন্যহাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক

ফারুক হোসেন শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে গারো পাহাড়ি এলাকায় বন্যহাতির তাণ্ডবে বোরো আবাদের আধাপাকা ধান খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে বিনষ্ট করেছে। কষ্টার্জিত সোনার ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কিনা এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা।উপজেলার সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারোমারী খ্রিস্টান মিশন এলাকার ভেদরকোনা পাহাড়ি গোপে রাতভর তাণ্ডব চালায় প্রায় ৪০-৫০টি বন্যহাতির দল।
কৃষক রসুল মাহমুদের ১ একর ৫০ শতাংশ জমিসহ আরও কয়েকজন কৃষকের বোরো ধানক্ষেত বিনষ্ট হয়। হাতির দল ধান খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে দেয়।বারোমারী আন্ধারুপাড়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রসুল মাহমুদ বলেন আমি ঋণধারে দেড় একর জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছিলাম।বন্যহাতির দল আমার আধাপাকা ধান খেয়ে সাবাড় করে দিয়েছে। আমরা রাতে গ্রামবাসীরা মিলে মশাল জ্বালিয়ে চিৎকার করেও ফসল রক্ষা করতে পারিনি। এখন খুব দুশ্চিন্তায় আছি কীভাবে সংসারের খাদ্যের যোগান দেব?ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আক্কাস আলী,বিকাশ সাংমা, আলবেত সাংমা, সতেষ সাংমা, আবুল কাশেম, তিব্বত কোচ ও মেজেস সাংমাসহ আরও অনেকে জানান, প্রায় ৪০-৫০টি বন্যহাতির দল দিনে গভীর জঙ্গলে লুকিয়ে থাকে এবং সন্ধ্যাবেলায় খাবারের সন্ধানে পাহাড়ের ঢালে নামার পর রোপিত বোরো ধানখেতে তাণ্ডব চালায়। আধাপাকা ফসল রক্ষা করতে কৃষকরা দলবেঁধে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন, তবু শেষরক্ষা হচ্ছে না।
মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জের কর্মকর্তা দেওয়ান আলী বলেন, পাহাড়ি এলাকায় বন্যহাতির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের লক্ষ্যে আবেদন নেওয়া হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনায় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, গারো পাহাড়ি এলাকায় বন্যহাতির তাণ্ডব একটি জাতীয় সমস্যা। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তাছাড়া বন বিভাগের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে এবং হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে সচেতনতামূলক সভাও করা হচ্ছে।