মোঃ নজরুল ইসলাম বেনাপোল প্রতিনিধ
তারিখ ১৫/১১/২৪শুক্রবার
যশোর বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আচড়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে । মোঃ আব্দুল্লাহ( ২৩) এর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে বেনাপোল বলফিল্ট মাঠে।
জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আব্দুল্লাহ রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অফ আনার প্রদান করেন ,শার্শা উপজেলার নির্বাহী অফিসার ,কাজী নাজিব হাসান, উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল মিয়া, সহ প্রশাসনের বিভিন্ন ইস্তুরের কর্ম কর্তাগণ।
শহীদ আব্দুল্লাহ পুরানো ঢাকার সরকারি শহীদ সরোয়ারদী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাঁচই আগস্ট সন্ধ্যা ৭ টার দিকে পুরানো ঢাকার বংশাল থানার সামনে আব্দুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়, তার কপালে গুলি লাগে। সে দুই থেকে তিন ঘন্টা রাস্তায় পড়েছিলো ,তাকে প্রথমে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় ,সেখানে তার অস্ত্র প্রচার হয়। তার অবস্থা উন্নতি না হলে ২২ আগস্ট তাকে সি এম এইচ হাসপাতালে নেওয়া হয়, গত বৃহস্পতিবার সকাল দশটার সময় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আব্দুল্লাহ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
হাজারো ছাত্র জনতার উপস্থিতিতে শহীদ আব্দুল্লার জানাজা সম্পন্ন হয় ,এই সময় উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সাবিরুল হক সাবু , দেলোয়ার হোসেন খোকন, শার্শা থানা বিএনপির সম্মানিত আহবায়ক খায়রুজ্জামান মধু সদস্য সচিব মোঃ আবুল হাসান জহির, বেনাপোল সভাপতি নাজিম উদ্দীন আবু তাহের ভারত ভাই মুস্তাফিজুর রহমান সেলিম ভাই ও ইন্দা ভাই ও দিপু ওমর সহ জেলা ও শার্শা থানার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, যশোর জেলা বিএনপি সদস্য সচিব সাবরুল হক (সাবু )বলেন শহীদ আব্দুল্লাহ যে অবদান আমাদের জন্য রেখে গেছে জাতি শ্রদ্ধার সাথে তাকে স্মরণ করবে ,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সকল শহীদদের সাথে থাকবে ,এবং বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন যে সমস্ত শহীদ রা এই গণঅভ্যুত্থানে আত্ম ত্যাগ করেছে ,তাদের নামকরণে বিভিন্ন স্কুলে নাম রাখা হবে, তিনি আরো বলেন,বর্তমান অন্তবর্তী কালিন সরকার জুলাই আগস্টে যারা শহীদ হয়েছে সেই সকল শহীদদের যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায় , তার প্রতি আহ্বান রাখেন।
জানাজা শেষে তার নিজ গ্রামে শহীদ আব্দুল্লাহ দাফন সম্পন্ন।
মোবাইল ০১৭১২৯৪৭৮৭১