ফারুক হোসেন (শেরপুর): টানা ভারী বর্ষণ ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নালিতাবাড়ীর ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে হঠাৎ বন্যার দেখা দিয়েছে।ভোরে মহারশি নদীর তীর উপচে পানি ঢুকে পড়ে লোকালয়ে। এতে জেলার শতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতশত পরিবার।শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জেলার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদ সীমার ১৬.৫৫ মিলিমিটার, পাহাড়ি নদী চেল্লাখালীর পানি ২১.৯৫ মিলিমিটার ও ভোগাই নদীর দুটি পয়েন্টের পানি ২১.৯৫ মিলিমিটার এবং ১৭.১৪ মিলিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় ঝিনাইগাতি বাজার ও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা, ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে।চেল্লাখালী নদীর তীরবর্তী বাতকুচি এলাকা প্লাবিত হয়ে অনেকে বাড়িতে আটকা পড়েছেন। আটকা পড়াদের উদ্ধারে অংশ নিয়েছেন নালিতাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। নন্নী-আমবাগান সড়ক, নন্নী-মধুটিলা ইকোপার্ক সড়ক, আমবাগান-বাতকুচি সড়ক চেল্লাখালী নদীর পানিতে তলিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে। এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ এখন পানিবন্দি।
এছাড়াও জেলার প্রতিটি শহরে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। পাহাড়ি ঢলের পানিতে আকস্মিক প্লাবিত হয়েছে নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতির অন্তত ১০টি ইউনিয়ন।
এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ আকস্মিক পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। তলিয়ে গেছে শত শত একর জমির উঠতি আমন ফসল।