31 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪

সুদে এনে বিশ হাজার টাকা ঘুষ প্রদান তবুও মিলেনি তিতাসের গ্রাহক সংকেত

স্টাফ রিপোর্টার :

কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের বএিশ তিতাসের জো বি অ তে চলছে গ্যাস সংযোগের এন্টি বাণিজ্য। প্রতি সংযোগের বিপরীতে গ্রাহককে দিতে হয় বিশ থেকে এিশ হাজার টাকা।

দপ্তর সূএে জানাগেছে ২০১৫ সন থেকে প্রায় ২৭ শতাংশ গ্রাহকের সংকেত নম্বর কম্পিউটারে অটোমেশন করার সময় ভূল বা অসমাপ্ত রয়ে যায়। এতে বৈধ গ্রাহক গ্যাস বিল পরিশোধ করতে গিয়ে ব্যাংকে গ্রাহক সংকেত না পেয়ে বিল পরিশোধ না করে ফিরে আসতে হয়। মাসের পর মাস বিল পরিশোধ না করায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বকেয়া বিলের উসিলায় বাড়ী বাড়ী গিয়ে গ্রাহকদের লাইজার খুলতে প্রস্তুতি নিলেই নিরুপায় গ্রাহক রা মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে লাইজার খোলা থেকে তাদের নিবৃও রাখতে বাধ্য হয়।
অফিসে আসা জনৈক গ্রাহকের সংগে কাকতালীয় ভাবে এ প্রতিনিধির সংগে সাক্ষাতে বেরিয়ে আসে অনেক চান্চল্যকর তথ্য।
কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল শ্রীনগর নিবাসী মোঃ রকুন মিয়া। গ্যাস সংযোগ গ্রাহক নং ১৭৭-৬৫৯৭ তারিখ ১০/১২/২০১৩ ইং সনে সংযোগ চালু করা হয়। কম্পিউটারে নাম না উঠার কারণে লাইজার নিয়ে আসে অফিসে। তারপর শুরু হয় উৎকোচ বাণিজ্য। ১০ হাজার টাকা দিয়ে যাএা শুরু হলেও একের পর এক চাহিদানুযায়ী টাকা দিয়ে কুলোতে না পেরে অবশেষে অসুস্হ রুকুনের স্ত্রী হাসনা সূদের উপরে ধার দেনা করে সর্বশেষ বিশহাজার টাকা ইন্জিনিয়ার বাছির,আরিফ ও ইব্রাহিম কে দেয় এতেও বিধি বাম। ডিজিএমের ভাগ দিতে হবে। এদিকে আরিফ উক্ত গ্রাহকের স্ত্রীর নিকট থেকে সকল দরকারী কাগজ পএ নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে দেয়। বএিশ এলাকার অপর এক গ্রাহকের নাম সংশোধন এর আদেশ হওয়ার পর সকল চাহিত প্রমাণাদি জমা প্রদানের ভিওিতে নির্ধারিত ফি ব্যাংকে জমা দেয়ার পরও আরিফ ও বাছিরকে এিশ হাজার টাকা না দেয়ায় এক বছর যাবত ফাইল বিভিন্ন অজুহাতে বন্দি হয়ে আছে। জোবিঅ মনোনীত দুইজন আইনজীবী পরামর্শক থাকলেও আরিফ ও বাছির কমিশন লাভের জন্য একজন আইনজীবী কে দিয়ে ই সকল মনমত পরামর্শ নিয়ে থাকেন। এদের চাপে পড়ে ১০ হাজার টাকা আইনজীবীর ফি গ্রাহককে দিতে বাধ্য হতে হয়। অথচ আরেকজন আইনজীবী ফিস বাণিজ্য না করার কারণে তার নিকট একটি ফাইলও পরামর্শের জন্য পাঠানো হয় নি। আর এ সকল অনিয়ম অপকর্মের মূল হোতা জোবিঅ কিশোরগঞ্জের নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারী আব্দুল জব্বার ( সদ্য বদলীকৃত) আরিফ, বাছির, ইব্রাহিম এবং ওবায়দুল্লাহ ( অন্য শাখার ষ্টাফ হলেও) গ্রাহক হয়রানীতে লিপ্ত থেকে প্রতারণা বাণিজ্যের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়ে আসছে। এব্যাপারে তত্বাবধান কারী কর্মকর্তা উপ -মহা ব্যবস্হাপক ময়মনসিংহ সুরঞ্জিত কুমার দে কমিশন পাওয়ায় এ কর্মচারীদের কোন ধরনের অনিয়ম অপরাধের উপযুক্ত বিভাগীয় ব্যবস্হা না করে স্বীকৃতি দিয়ে আসছেন। দুই একজন ঠিকাদার তাদের গ্রাহক হয়রানী বন্ধের দাবী জানালে তাদের কথার কোন কর্ণপাত করেন নি। এ বিষয়ে জোবিঅ বর্তমান প্রধান অতি সম্প্রতি বদলী হয়ে আসায় তিনি বিষয়গুলো প্রতিকারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কে জানাবেন বলে জানান।

- Advertisment -

সর্বশেষ সংবাদ