এম এ ইউসুফ আলী,রাঙ্গাবালী(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
কোরবানী দ্বারা মানুষ স্বীয় প্রেমের পরিচয় দিয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভে সক্ষম হয়।বস্তূজগতের কোন কিছুই আল্লাহর ন্যূনতম প্রয়োজনেও আসেনা। সবকিছুই মানব প্রয়োজনে সৃষ্টি করেছেন।আল্লাহ পাক পানাহার থেকেও সম্পূর্ণ পবিত্র।অত এব, কোরবানীর গোশত চামরা ইত্যাদিও আল্লাহ চান না।বান্দা কোরবানী করে নিজেরাই খায় এবং ব্যবহার করে।অথচ আল্লাহ সবটুকু সওয়াব বা পুন্য তাঁর বান্দাকেই দান করে থাকেন।
ইসলামের ইতিহাস থেকে জানা যায়, মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম আ: আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য স্বীয় পুত্র ইসমাইল কে আল্লাহর রাস্তায় কোরবানী করার জন্য মিনায় শোয়ায়ে দেন। আল্লাহ তার কাজে খুশি হয়ে পুত্রের পরিবর্তে ফেরেস্তাদের মাধ্যমে একটি দুম্ভা জবেহ করিয়ে দেন।তাই কুরবানী করা ইব্রাহীম আ: এর সুন্নাত।
আর মাত্র ক’দিন পর ই ঈদুল আজহা। আর এই ঈদের অন্যতম কাজ হচ্ছে পশু কুরবানি করা। ঈদুল আজহা সামনে রেখে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাঙ্গাবালীর কামার পট্টিগুলো। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম হচ্ছে ঈদুল আজহা। আর এই ঈদে মুসলিম ধর্মের অনুসারীরা আল্লাহকে রাজি খুশি করতে পশু জবাই করে থাকে।
আর এই পশু জবাইয়ের জন্য প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি। মাংস কাটা এবং কুরবানির পশু জবাই করার বিভিন্ন ধাপে ছুরি, দা, চাপাতি এসব ব্যবহার করা হয়। ঈদের বাকি আর ৬ দিন। তাই পশু কুরবানিকে কেন্দ্র করে উপজেলার কামারপল্লীগুলো অনেকটাই ব্যস্ত সময় পার করছে। দগদগে আগুনে গরম লোহায় ওস্তাদ-সাগরেদের পিটাপিটিতে মুখর হয়ে উঠেছে কামারশালাগুলো। আবার এসব ধাতব সরঞ্জামাদি শান দিতে শানের দোকানগুলোতেও ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। উপজেলার প্রানকেন্দ্র ছোটবাইদিয়া হাট ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়। ঈদে হাজার হাজার গরু, খাসি, ভেড়া, মহিষ, উট, দুম্বা ইত্যাদি পশু কুরবানি করা হয়ে থাকে। এসব পশু জবাই থেকে শুরু করে রান্নার চূড়ান্ত প্রস্তুতি পর্যন্ত দা-বঁটি, ছুরি-ছোরা, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার আবশ্যকীয় হয়ে যায়। ঈদের আগেই পশু জবাই করার ছুরি, চামড়া ছাড়ানোর ছুরি, চাপাতি, সবকিছু প্রস্তুত রাখতে হয়।
গতকাল বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন দামে ছুরি, বঁটি, চাপাতি বিক্রি হচ্ছে দোকানগুলোতে।
অন্যদিকে ঈদ সামনে রেখে ক্রেতারাও দর দাম করছে। দেখছে কেমন ছুরি বা চাপাতি নেবে। অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর বিবেচনা করে উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সকলেই আসছে মার্কেটে। দেখছে ভালো লোহার জিনিস ও কম দামি লোহার জিনিস
কথা হয় উপজেলা সদরের দোকানদারতনু কর্মকারের সাথে তিনি জানান, সারাবছর বেচাকেনা টুকটাক থাকে। কোনোরকম দিন যায়। এই সময়ের জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকি। কুরবানির ঈদের আগে এক সপ্তাহ ভালো বেচাকেনা হয়। ওই সময় দামও ভালো পাওয়া যায়।