নারায়ণগঞ্জ রেললাইন ডাবললেন করা এবং এর আশেপাশের জায়গা আধুনিকায়নের জন্য গত জুলাই মাসের ২৯ তারিখে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহায়তায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
সে সময় চাষাঢ়ায় উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে জাতীয় পার্টির নেতা জয়নালের মালিকানাধীন আল-জয়নাল ট্রেড সেন্টারের পশ্চিম দিকের ১০ ফুট দেয়াল ভেকু দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।
অন্যদিকে সরকারি মহিলা কলেজের পূর্ব দিকে গড়ে উঠা বাগানবাড়ী রেস্টুরেন্ট; একটি অস্থায়ী মাদ্রাসাসহ অসংখ্য দোকান গুড়িয়ে দেয়া হয়। তখন ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ের ভূমি বিষয়ক কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, চাষাঢ়া থেকে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশনের অভিমুখে চলবে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম।
জানা যায়, গত ১১ ও ১২ অক্টোবর উকিলপাড়া রেলওয়ে থান কাপড়ের মার্কেটের সামনে উচ্ছেদের আগাম বার্তা দিয়ে মাইকিং করে রেলওয়ে কতৃপক্ষ। বলা হয়, ১৪ ও ১৫ অক্টোবরের মধ্যে রেলওয়ের জায়গায় গড়ে উঠা থানের মার্কেটের অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হবে।
কিন্তু এখন পর্যন্ত সেখানে রেলওয়ের পক্ষ্য থেকে কোন উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়নি। তবুও আতঙ্কিত সেখানকার বহু ব্যবসায়ীরা যে কোন সময়ে উচ্ছেদ হতে পারে এমন চিন্তা মাথায় রেখে এখন থেকেই দোকানের মাল ও জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলছে তাঁরা।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, গলাচিপা মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়া রেল- লাইনের পূর্ব পাশে বেশ কয়েকটি দোকান ভেঙে ফেলেছে স্বয়ং দোকানীরা নিজে।
এবং উকিলপাড়া রেল-লাইনের পাশে বহু থান কাপড়ের দোকানের মালপত্র সরিয়ে নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, নিজেদের মালপত্র ও স্থাপনা নিজেরাই সরিয়ে নিলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হবে নইলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ভেকু দিয়ে উচ্ছেদ করলে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ
বাড়তে পারে।
এবিষয়ে আব্দুল হালিম নামে এক থান কাপড় বিক্রেতা বলেন, আমার দোকানের কিছু অংশ রেলওয়ের জায়গাতে আছে কিন্তু পুরোটা নেই, তাও ওরা (রেলওয়ে কতৃপক্ষ) ভাঙার সময় তো আর মেপে মেপে ভাঙবে না; যা চোখের সামনে আসবে তাই ভেঙে ফেলবে। সে কারণে দোকানের সব মালপত্র সরিয়ে ফেলেছি।
মোক্তার হোসেন নামে আরেক থান কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদের কথা বহুদিন আগে থেকেই বলে আসছে এবং তারিখ দিয়ে যাওয়ার পরেও কথা মতো কাজ করছেনা। কিন্তু আমরা সব সময় এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে থাকি।
অন্যদিকে থান কাপড়ের মার্কেট ছাড়াও রেললাইনের পাশে গড়ে উঠা বোস কেবিনের চায়ের দোকান, রসরাজের মতো জনপ্রিয় মিষ্টির দোকানও ভাঙা হতে পারে রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযানে।