মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরের ডাসারে শিশু ধর্ষন মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভূক্তভোগী পরিবারকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা ও তুলে নিয়ে ফের ধর্ষনের হুমকীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অসহায় পরিবার। আজ শুক্রবার সকালে কালকিনি ও ডাসার উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত ভূরঘাটা প্রেসক্লাব হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ওই শিশুর পরিবারের স্বজনরা ও স্থানীয় লোকজন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওই শিশুর মা সাংবাদিকদের জানান, তার শিশু কন্যাকে উপজেলার পূর্ব খান্দুলী গ্রামের জহুর উদ্দিন ফরাজীর ছেলে নুর মোহাম্মদ ফরাজী তার বসতঘরে ডেকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। তাকে এ বিষয় নিষেধ করার পরেও লম্পট নুর মোহাম্মদ গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পূনরায় আমার শিশু কন্যাকে তার বসতঘরে ডেকে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালিয়ে ওই শিশুর দুই রানে বির্যপাত ঘটায়। পরে এই ঘটনায় আমরা ওই শিশুকে উদ্ধার করে ডাসার থানায় অভিযুক্তর বিরুদ্ধে একটি ধর্ষন চেষ্টা মামলা করতে যাই। এবং এসময় আমরা ওই শিশুর মেডিক্যেল করার জন্য ওসি স্যারকে বলি। কিন্ত ওসি স্যার আমার মেয়ের মেডিক্যাল করার প্রয়োজন নেই বলে যানান। তবে ওসি স্যার আমার স্বামীকে বলেন মেডিক্যেল তোমার মেয়ের নয় তোমার স্ত্রীর করার প্রয়োজন। ওসি স্যারের এই কথা শুনে আমরা লোক লজ্জায় সেখান থেকে চলে আসি। পরে গত ১৮ সেপ্টেম্বর থানায় ওই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে একটি ধর্ষন মামলা নেয়া হয় মামলা নং-০৪। এদিকে আমার মেয়ের ধর্ষন চেষ্টার আলামত নষ্ট হওয়ার পরে ১৯ সেপ্টম্বর তার মেডিক্যাল করানো হয়। এদিকে বর্তমানে মামলা তুলে নেয়ার জন্য আসামী পক্ষের লোকজনে আমার পরিবারের লোকজনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ও আমার যুবতী মেয়েদের তুলে নিয়ে ফের ধর্ষনের হুমকী-ধামকী প্রদান করে আসছে। উপায়অন্ত না পেয়ে আমরা পরিবারের সবাই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে রয়েছি। আমরা এখন অভিযুক্তদের বিচার ও আসামী নুর মোহাম্মদের ফাঁসি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে ডাসার থানার ওসি মো. মাহামুদ উল হাসান বলেন, বাদি পক্ষ এখন যা মন চায় তা বলতে পারে। বির্যপাত হওয়া মানে ধর্ষন। তবে আমি আইনের ব্যাখ্যা অনুয়ায়ি মামলা নিয়েছি।