31 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪

টাঙ্গাইলে অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

টাংগাইল জেলা প্রতিনিধি ঃ

টাঙ্গাইলে বিবেকানন্দ হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন দুর্নীতি, স্বজন-প্রীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্ব্যবহার, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন, এরকম অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে-র বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর)দুপুরে এসব অভিযোগ এনে বিবেকানন্দ হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে-র অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। পরে প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মো. বজলুর রহমান।

তিনি বলেন, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম ভিপি জোয়াহের ও তার স্ত্রী রওশন আরা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাদের হাত ধরে অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদকের পদ নেন। তারপর থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে রাজনৈতিক কার্যালয়ে পরিণত করেন।

এছাড়াও, ৪ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা করেন তিনি।

তিনি এ বছর শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন বোনাস ও টিএফ সহ মোট দেখান ১ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার ৩৫৯ টাকা সেখানে খরচ করে ৪৩ লাখ ৪৬ হাজার ২২২ টাকা। বাকি ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩৪ হাজার ১৩৭ টাকা অসামঞ্জস্য ব্যয় দেখান। তিনি পলাতক হওয়ার আগে বেতন ভাতার নামে ৮ লাখ টাকা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে উঠিয়ে আত্মসাৎ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ১৮টি অভিযোগ আনা হয়েছে। তারমধ্যে বেশিরভাগ অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে।

এ বিষয়ে বিবেকানন্দ হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় মামলার আসামি থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

- Advertisment -

সর্বশেষ সংবাদ