মৃত্তি আজ এ দারুণ বসন্তে
এসো দুজনে বসি একান্তে,
অবশ্য যদি বিবেকে না বাধে
যদি না পোড় অনিশ্চয়তার বিস্বাদে।
তোমার চোখ বলছে, ভালো আছো
এত আনন্দ তুলে কী করে বাঁচো?
কিছু মনে করো না কথার কথায়
আজ তোমাকে দেখে মনকে বোঝায়
আমার মৃত্তি বেশ আছে
দারুণ সুখে হেসে বাঁচে।
দেখ, নিয়তির কী অদ্ভুত খেলা
কতদিন একান্তে দুজন সারাবেলা
চাইলে কাছে পেতাম একে অপরে
আজ তুমি দূরে অনেক দূরে।
আজ তুমি কতদূরে মৃত্তি?
স্মৃতির অতীতে জমা স্মৃতি
তার সব ভুলে গেলে কি?
সেসব বুঝি আর দেখনি খুঁজি।
কিছু মনে করো না কথার কথায়
তোমাকে বলি কথা পায় কোথায়?
অনেক বছরের পর দেখা
দেখলাম, এখানটায় আছো একা
সাহস করে তাই কাছে এলাম
এত একান্তে তোমায় পেলাম।
কিছু মনে করোনি তো কথায়?
আবার যেন বলো না যায়
আরেকটু বসো আর কিছুক্ষণ
তোমায় আরো দেখতে চাইছে মন,
হৃদয় যেন আজ তৃষ্ণার্ত মরুচল
যদি খুঁজে পায় কিছু তৃষ্ণার জল
কিছু মনে করো না কথার কথায়
জানো, মন পোড়ে দারুণ বিষণ্নতায়।
যদি অনুমতি দাও একটু স্পর্শ করি
আহা হা হা উঠো না নারী
কথা তো শেষ হতে দাও
শেষের সেদিনও হয়েছ উধাও।
তোমায় অনেক মনে পড়েছে রমণী
অনেক ভেবেও তোমার ছবি মনে আসেনি!
হঠাৎ সেদিন রাত্রি গভীর
তুমি এলে স্বপ্নের তীর
সে স্বপ্নে তুমি ছিলে কাছে খুব
চারদিক ছিল দারুণ নিশ্চুপ।
সে ক্ষণে কত কথা হলো দুজনে
হঠাৎ একটি চাওয়া ওঠে এলো মনে
কী কথায় বলি সে কথা, যেন কোন কথাতে
বলেছি মৃত্তি, একটু স্পর্শ করি তোমার হাতে!
শুধু মৃদু হেসে ছিলে তুমি
তার কিছুই বুঝিনি আমি,
বললে তুমি, আবার যখন দেখা হবে
চেয়ে নিও তা তখন তবে।
আর কি গো দেখা হবে মৃত্তি?
তুমি যে এখন শুধুই স্মৃতি।
অবশেষে আজ তোমায় পেলাম
সাহস করে তোমার কাছে এলাম
এখন শুধু চাই সেই স্বপ্নের স্বীকৃতি
আজ একটু স্পর্শ কি পাব, মৃত্তি।