নুর আলম সুমন,গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে কনসার্টে নাচানাচি নিয়ে বিতর্ক ও মারামারির জেরে পাল্টা হামলায় শিক্ষকসহ ১৫ পরীক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত তিন জন গোপালপুর উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অবশিষ্টরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। হামলা,পাল্টা হামলার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গোপালপুর থানার আওতাধীন হেমনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর মাহফুজ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে ভালোবাড়ী গ্রামের স্কুল মাঠে স্থানীয় যুবকরা কনসার্টের আয়োজন করে। সেখানে নাচানাচি নিয়ে বিতর্কের জেরে ভালোবাড়ী গ্রামের যুবকদের হাতে গুলিপেচা ও শিমলাপাড়া গ্রামের তিন যুবক আহত হয়। এর প্রতিশোধ হিসাবে গতকাল বৃহস্পতিবার পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। তবে পরীক্ষার্থীদের উপর হামলা সমর্থন যোগ্য নয়। এখনো কেউ পুলিশের নিকট লিখিত অভিযোগ দেয়নি। হেমনগর শশীমুখী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার তার স্কুলের নবম শ্রেণীর ১৬৫ জন ভোকেশনাল পরীক্ষার্থী নারুচী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে গণিত বিষয়ে পরীক্ষা দিতে যায়। পরীক্ষা শেষে হল থেকে বেরিয়ে মূল সড়কে আসাা মাত্র গুলিপেচা, অর্জুনা ও নলিন গ্রামের ৪০/৫০জন সন্ত্রাসী রড, হাতুড়ি ও ছুরি, চাকু নিয়ে পরীক্ষার্থীদের উপর গণ হামলা চালায়। শিক্ষার্থী ছাড়াও দুইজন শিক্ষকও আহত হন। আহত শিক্ষার্থী আলফি আহমেদ স্মরণ, ইসমাইল হোসেন ও রিজভী হাসান রাফী অভিযোগ করেন, কনসার্টের দিন যারা মারামারি করেছিল তাদের না পেয়ে ভালোবাড়ী ও এর আশপাশের কয়েক গ্রামের বাসিন্দা যারা শশীমুখী হাইস্কুলের পরীক্ষার্থী তাদেরকে বেদম পিটুনি দিয়ে মনের ঝাল মিটিয়েছে সন্ত্রাসীরা। হামলার সময় আহতরা প্রান বাঁচানোর জন্য কলেজ অফিস কক্ষে আশ্রয় নিতে গেলে কলেজ প্রশাসন তাদেরকে আশ্রয় দেয়নি। কয়েকজন হাতে আঘাত পাওয়ায় পরবর্তী পরীক্ষা দেয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। অভিভাবক আফরীন জাহান জানান, গ্রামবাসির এসব ফ্যাসাদে নিরীহ শিক্ষার্থীদের তো দোষ ছিলনা। তাহলে কেন তাদের উপর পৈশাচিক হামলা হলো। তিনি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি জানান। নারুচী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহনাজ আখতার জানান, দুই গ্রুপই একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থক। কিন্তু এর জেরে নিরীহ পরীক্ষার্থীদের উপর হামলা নিন্দনীয়। ঘটনাটি ঘটেছে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে। আহতদের কলেজ অফিসে আশ্রয় দেয়ার চেয়ে হাসপাতালে পাঠানো জরুরী ছিল। তিনি পুলিশ ডেকে সেটাই করেছেন।