অভিশেখ চন্দ্র রায়, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
আজ সরস্বতী পূজা ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল সহ সারা দেশে মন্দির ও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে উদযাপিত হচ্ছে নানা আয়োজনে।
বুধবার ১৪ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দুধর্মাঅবলম্বীদের মতে-সরস্বতী বিদ্যা বাণী আর সুরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে শুভ্র রাজহংসে চেপে দেবী সরস্বতী আসেন জগতে। গতকাল মধ্যরাতে প্রতিমা স্থাপন করে পূজার আনুষ্ঠানিকতা সূচিত হয়েছে। চলবে আজ রাত অবধি।
সনাতন ধর্মীয় রীতিতে প্রত্যুষে দেবীকে দুধ, মধু, দই, ঘি, কর্পূর, চন্দন দিয়ে স্নান করানো হয়। সকাল ৯টার দিকে হয় বাণী অর্চনা। পুরোহিতের মন্ত্রে ‘সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমল লোচনে/ বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যংদেহী নমোহস্তুতে’-এ মন্ত্রে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আরাধনা করবেন, পূজার আচার পালন করেন। সংকল্প করে এরপর ভক্তরা পুষ্পাঞ্জলি দেন। তাদের বিশ্বাস, দেবী খুশি হলে বিদ্যা ও বুদ্ধি অর্জিত হবে।
আজ শীতল ষষ্ঠীতে শিশুদের হাতেখড়ি, ব্রাহ্মণভোজন ও পিতৃতর্পণের প্রথা প্রচলিত আছে হিন্দু সমাজে। সরস্বতী বৈদিক দেবী হলেও সরস্বতী পূজা বর্তমান রূপটি আধুনিককালে প্রচলিত হয়েছে। প্রাচীনকালে তান্ত্রিক সাধকেরা সরস্বতীসদৃশ দেবী বাগেশ্বরীর পূজা করতেন। শ্রীপঞ্চমী তিথিতে ছাত্ররা বাড়িতে বাংলা বা সংস্কৃত গ্রন্থ, শ্লেট, দোয়াত ও কলমে সরস্বতী পূজা করত। সরস্বতী পূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়, বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা আজ বাণী অর্চনাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আয়োজন করেছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল পৌর শহরের হাটখোলা দুর্গা মন্দির, বসাকপাড়া, সাহাপাড়া, গোবিন্দ মন্দির, কলেজ পাড়া, জুগিপাড়া ডিগ্রী কলেজ গন্ডাবাড়ি বাচোর, গুয়াগাঁও সহ সারা দেশের মন্দির ও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এপূজায় অনুষ্ঠানমালায় আছে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতি, আলোকসজ্জা প্রভৃতি।
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাণীশংকৈল পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবু সাধন বসাক বলেন,সরস্বতী পূজা গতবারের চেয়ে এবারে বৃদ্ধি পেয়েছে জাঁকজমক ভাবে পূজা হচ্ছে।