31 C
Dhaka
বুধবার, অক্টোবর ১৬, ২০২৪

জিএনবি’র মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এলো ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার

ইউসুফ ইউহানা : গুড নেইবারস বাংলাদেশ (জিএনবি) শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় শিক্ষক উন্নয়ন ও বিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মানজনক ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার (৮ম সংস্করণ) অর্জন করেছে। এ পুরস্কার জিএনবি’র মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছে।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয়ে বিশ্ব শিক্ষক দিবস এবং ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। জিএনবি’র পক্ষে সম্মানজনক এই পুরস্কার গ্রহণ করেন সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর এম মাঈনউদ্দিন মইনুল।

জানা গেছে, বিশ্বব্যাপী শিক্ষাদান এবং শেখার মানকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে উদ্ভাবনী অনুশীলনগুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য প্রতি দুই বছর অন্তর ইউনেস্কো এই পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করে থাকে। এ বছর প্রায় ৩০০ জন আবেদনকারীর মধ্যে ইউনেস্কো এ পুরস্কারের জন্য বিশ্বের ১০টি সংস্থাকে মনোনীত করে। সেখানে প্রথম বিজয়ী হিসেবে গুড নেইবারস বাংলাদেশ’র নাম ঘোষণা করা হয়।

পুরস্কার প্রসঙ্গে এম মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেন, ‘এই অর্জন আমাদের কঠোর পরিশ্রমী শিক্ষকদের জন্য একটি মহান স্বীকৃতি, যারা সমস্ত বৈষম্য, অবিচার এবং অপর্যাপ্ততার বিরুদ্ধে লড়াই করেন। বাংলাদেশকে বাল্যবিবাহ এবং শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। এটা শুধু সিভিল সোসাইটির লড়াই নয়, আইএনজিওসহ সারা বাংলাদেশের লড়াই। এই লড়াইয়ে আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য ইউনেস্কো ও হামদান ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই অর্জন ২১ শতকে অধিকার-ভিত্তিক শিক্ষার জন্য শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করে আরও বেশি দায়িত্বের আহ্বান জানায়।’

গুড নেইবারস বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিটি শিশুর উচ্চমানের শিক্ষা এবং তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছানোর সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গুড নেইবারস বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’

উল্লেখ্য, গুড নেইবারস একটি আন্তর্জাতিক মানবিক ও উন্নয়নমূলক বেসরকারি সংস্থা, জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলে (ইউএন ইকোসক) জেনারেল কনসালটেটিভ স্ট্যাটাসে সদস্যপদ রয়েছে। গুড নেইবারস বাংলাদেশ ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত। শিশু সুরক্ষা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, আয়বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম, ডিআরআর এবং রোহিঙ্গা জরুরি অবস্থার জন্য ১৩টি জেলায় ১৭টি কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (সিডিপি) এবং ৫টি বিশেষ প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে। সংস্থাটি সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষায় অবদানের জন্য ২০০৭ সালে এমডিজি-২ পুরস্কারে ভূষিত হয়।

- Advertisment -

সর্বশেষ সংবাদ