কবিতা – কখনো ভেবেছো;
কত রাত, কত বিনিদ্র রজনী কেটেছে আমার!
কতটা রক্ত মাংসে মিশে গিয়েছিলে
নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে!!
কবিতা – মনে পড়ে;
শত সহস্র দূরে যাওয়ার কথা ছিলো তোমার।
হৃদে ছিলো অমিত সম্ভাবনা
স্বপ্ন রাঙা দিনগুলি অন্তিম হয় নি এখনো!
কবিতা – দেখো কি;
আজো চাঁদ দিয়ে যায় অমলিন
প্রেমোদিপ্ত জোৎস্না তোমায়
মন মস্তিষ্কে ব্যকুলতা তোমার আমার তরে
প্রেমপ্রিয়সী হৃদে কেন তব এত নিষ্ঠুরতা?
কবিতা -এখনো কি ;
মায়াভরা আঁখি ছলছল করে
ছবিভরা নিষ্পাপ বদনে
ঠোঁট দুখানায় নির্লিপ্ত হাস্য ফুটে ওঠে!
নাকি কামোদীপ্ততা ছাপিয়েছে তোমায় সীমাহীন বিষাদে?
কবিতা- আজও কি;
অামার অনুপস্থিতি তোমার শিরা উপশিরায় শিহরিত করে
মলিনতায় ছেপে দেয় হৃদ তম
নাকি অগোচরে সীমারের নির্দয়তায় রক্তাক্ত তুমি?
কবিতা – পারবে কি;
সিঁথিতে সিঁদুর তোমার মুছে ফেলতে?
নগ্ন বাহুগুলি প্রসারিত করে ভুলতে আমায়?
জানি হৃদতম কভু নাহি মুছিবে আমারে!
তুমি যেন আকুল প্রিয়’র সান্নিধ্যে।
কবিতা – শোনো;
আমি রাজপথে আছি দৃপ্ত হস্তে
তোমায় বাহুডোরে নিবো বলে!
প্রেয়সীর তরে প্রেমের বিনিময়
শপথের হিমালয়ে “কবিতা”
এ আমার অপেক্ষার প্রহর।