মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম :
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোর রাতে পুটখালী সীমান্তের চরের মাঠ থেকে দিঘীরপাড় উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আরিফ হোসেনের ছেলে মো. সাবুর আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একইভাবে পাঁচভুলট সীমান্ত এলাকায় মেইন পিলার ১৭/৭এস এর ১০২আর পিলার থেকে প্রায় ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইছামতি নদীর পাড়ে ভান্ডারীর মোড় নামক স্থানে কাগজপুকুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মো. ইউনুস মোল্লার ছেলে জাহাঙ্গীর কবিরের মরদেহ উদ্ধার করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (২১ বিজিবি) সদস্যরা।
জাহাঙ্গীর কবিরের ভাই জানান, তার ভাই প্রায় ১৫ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছেন। সেখানে তিনি স্থানীয় এক নারীকে বিয়ে করে নাগরিকত্ব পেয়েছেন এবং তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। কিছুদিন আগে তিনি বাড়ি ফেরেন এবং ভারতে ফেরার চেষ্টার সময় এ ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, মো. সাবুর আলীর স্ত্রী হাসি বেগম জানান, রাতে কেউ তাকে খবর দেন যে, পুটখালীর আমবাগানে তার স্বামীকে মেরে ফেলে রাখা হয়েছে। সেখানে গিয়ে তিনি তার স্বামীকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। স্বামীকে বাড়ি নিয়ে আসার পথে তিনি মারা যান। সাবুরের স্ত্রী বলেন, “আমার দুটি কন্যাসন্তান আছে। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। এখন এই সন্তানদের নিয়ে আমি কীভাবে বাঁচবো?”
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, তাদের দুজনকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পিটিয়ে হত্যা করে বাংলাদেশের সীমান্তে ফেলে রেখে গেছে।
২১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খুরশীদ আহমেদ জানান, “সকালে পাঁচভুলট সীমান্তের মেইন পিলার ১৭/৭এস এর ১০২আর পিলার থেকে প্রায় ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইছামতি নদীর পাড়ে ভান্ডারীর মোড় এলাকায় মরদেহটি উলঙ্গ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কিভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এবং মরদেহ এখানে এলো, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।”
মোবাইল ০১৭১২৯৪৭৮৭১