এভাবেও ফিরে আসা যায়…
চঞ্চলা কৈশোরে ভালোবাসায় চিবুক ভিজিয়ে যায় যে মোহময় প্রেমিক!
পরিণত সময়ে বাস্তবতার অলঙ্করণে তাকেও বেমালুম ভুলে যায় বাগদত্তা প্রেমিকা।
পীড়িত স্বামীকে যমের দুয়ার হতে ফিরিয়ে আনতে যে রমণী থাকে বদ্ধপরিকর;
হেরে গিয়ে, সবস্ত বেশভূষা ত্যাগে মলিন রমণীও
কোনো এক রাতে তৃপ্তির শীৎকারে জাগতিক জীবন সাজায়।
এভাবেও ফিরে আসা যায়;
আমিতো অতি সাধারণ,
জীবনকে ডিঙ্গিয়ে মৃত্যুর আহবানে যেতে হবেই জেনেও ঈশ্বরের পৃথিবীকে দু’পায়ে মাড়িয়ে সেচ্ছামৃত্যুকে আলিঙ্গনের দুঃসাহস কোথায়!
জানি, আকাঙ্খাতে বাঁচাটা ঠিক কতোটা ভুল;
তবু নির্লজ্জ মন শোনেকি বারণ?
কাজল আঁকা ডাগর চোখের কোণে অপেক্ষারা কথা বলে।
আমি জানি আমাকে খুব সহজেই ভুল বোঝা যায়…
তবে সৌজন্যতায় হোক,তবু ভেবে দেখো;
অমরত্ব জয়ের লোভে যে ঋষি ধ্যানে বসেছিলো দৃঢ়তায়!
সেও তো ফিরেছিলো কামনার কুঠিরে, খানিক জিরিয়ে নেয়ার ছুতোয়।
আমি বরং তার চেয়ে অতি অল্প…
জীবনের কাছে বেঁচে থাকার তৃষ্ণা মেটাতে হাত পেতেছি;
আমি জানি,এভাবেও ঠিক ফিরে আসা যায়!
যাবতীয় যতো পরাজয়,তাকে উপেক্ষা করে
অমোঘ এবং স্থির বিশ্বাসে নিজেরই কাছে নিজেকে জয়ী করতঃ আবারও বেঁচে ফেরা যায়।