31 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪

ভারত থেকে আনা ৫০ লাখ টিকার (করোনাভাইরাস) ভ্যাকসিন এখন টঙ্গীতে

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকা উদ্ভাবিত ৫০ লাখ টিকার (করোনাভাইরাস) প্রথম চালান টঙ্গীতে বেক্সিমকো ফার্মার নিজস্ব ওয়্যার হাউসে এসে পৌঁছায়। বেক্সিমকোর বিশেষায়িত ভ্যানে সোমবার দুপুর ১টার দিকে পুলিশ পাহারায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে টিকার এ চালান আনা হয়।

বেক্সিমকো ফার্মাটিউক্যালস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা জানান, বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে সোমবার সকাল ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারত থেকে করোনাভাইরাসের ওই টিকার প্রথম চালান এসে পৌঁছায়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিশেষায়িত ভ্যানে করে টিকাগুলো পুলিশ পাহারায় গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী চেরাগআলী এলাকায় অবস্থিত বেক্সিমকো ফার্মার ওয়্যার হাউসের উদ্দেশে নেয়া হয়। পরে দুপুর ১টার দিকে টিকা বহনকারী নয় বিশেষায়িত ভ্যান থেকে টিকা ওয়্যার হাউসে রাখা হয়।

তিতনি জানান, টঙ্গীর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের কারখানায় ১৫ মিলিয়ন (ভ্যাকসিন) ভায়াল ধারণ ক্ষমতা বিশিষ্ট দুইটি ওয়্যার হাউস রয়েছে। ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় এ ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করতে হয়। বিশেষায়িত এ ওয়্যার হাউসে নির্ধারিত তাপমাত্রাসহ বিশেষ পরিবেশ মেনটেইন করা হচ্ছে। শুধু ওয়্যার হাউসেই নয়, পরিবহনের সময় ভ্যানেও ওই পরিবেশ ও তাপমাত্রা বজায় রাখা হচ্ছে। এখানে ভ্যাকসিনের মান নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের সব ব্যবস্থা রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী তিন কোটি ডোজ টিকার মধ্যে সোমবার ৫০ লাখ এসেছে। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের যে ল্যাবরোটরি আছে সেখানে রিলিজ সার্টিফিকেটের জন্য এ ভ্যাকসিনের কিছু স্যাম্পলসহ ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে (সোমবার) কিংবা কালকে (মঙ্গলবার) এসব আমরা জমা দেব। ল্যাবে জমা দেওয়ার পর ওনারা তা রিলিজ করে দিলে ডিজি হেলথ অফিসের সরবরাহ করা তালিকা অনুযায়ী নির্দিষ্টসংখ্যক ভ্যাকসিন ৬৪ জেলায় আমাদের ফ্রিজার ভ্যানে করে পৌঁছে দেব।

- Advertisment -

সর্বশেষ সংবাদ