সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের ঘটনার লাগাম টেনে ধরতে এবং ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে সমাবেশ, পদযাত্রা ও প্রধানমন্ত্রী বরাবার স্মারকলিপি দিয়েছে টিম পজেটিভ বাংলাদেশ (টিপিবি)। আজ রবিবার বিকেলে জাতীয় সংসদ সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে সমাবেশ পরবর্তী পদযাত্রাটি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় মিরপুর রোডের এরোপ্লেন মোড়ে পুলিশ থামিয়ে দেয়।
পরে একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ৪নং গেটে গিয়ে স্মারকলিপিটি প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের পক্ষ থেকে সহকারী প্রেস সচিব ইমরুল কায়েস রানা স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন বলে জানিয়েছেন টিপিবির প্রতিষ্ঠাতা ও ডাকসুর সদ্য সাবেক জিএস গোলাম রাব্বানী।
জানা যায়, বিকেলে পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী জাতীয় সংসদ সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে সমাবেশ শুরু হয়। এসময় ধর্ষণ প্রতিরোধে রাষ্ট্রের প্রতি গণমানুষের নৈতিক ও যৌক্তিক দাবিগুলো উপস্থাপন করা হয়। সমাবেশে ধর্ষণ বিরোধী নানান প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।
এসময় গোলাম রাব্বানী বলেন, বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি ধর্ষণ মহামারি আকার ধারণ করছে। ধর্ষণের এই লাগামহীন বেড়ে চলা রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যর্থতা বলে আমরা মনে করি। আর এজন্য অবশ্যই রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে এবং এর লাগাম টেনে ধরতে সম্ভাব্য সব ধরণের পদক্ষেপ রাষ্ট্রকে গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা সব জনগণ রাষ্ট্রের সদেচ্ছে দেখতে চাই। সুতরাং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা সরকার ধর্ষণের আইন সংস্কারে উদ্যোগ দিচ্ছে, এজন্য সাধুবাদ জানায়। ১৬০ বছরের পুরানো আইন ধর্ষণের লাগাম টেনে ধরতে পারছেনা। তাই জনগণের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেছেন, সরকার বিদ্যমান আইনের সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটিকে আমরা স্বাগত জানায়।
‘এর পাশাপাশি বলতে চায়, ধর্ষকের জন্য কোন মানবাধিকার প্রয়োগ হতে পারে না। অনেকেই বলবেন, সভ্য সমাজে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে অনেকের দ্বিমত আছে। কিন্তু আমরা মনে করি, প্রয়োজনে আইন সৃষ্টি করে আবার প্রয়োজনে কোন আইন মানে না’-যোগ করেন রাব্বানী
এদিকে, সমাবেশ শেষে জাতীয় সংসদ অভিমুখী পদযাত্রাটি মানিক মিয়া এভিনিউ ঘুরে প্রধানমন্ত্রীর নিকট ন্যায্য দাবী সংবলিত স্মারকলিপি প্রদানের উদ্দেশ্যে তাঁর কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলে, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় মিরপুর রোডের এরোপ্লেন মোড়ে মিছিল থামিয়ে দেয় পুলিশ। পরে টিপিবির পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ৪ নং গেটে আসলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের পক্ষ থেকে সহকারী প্রেস সচিব ইমরুল কায়েস রানা স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।