জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে জমি জবরদখল, দোকানপাট ভাংচুর, লুটপাটসহ প্রায় ৫৫ লাখ টাকা ক্ষতি করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য সামছুল আলম এবং তার সহযোগী হাসানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোন সাড়া দেয়নি বলে দাবি ভুক্তভোগীর।
বুধবার সন্ধ্যায় জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আমানত আলী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, দেওয়ানগঞ্জ থানাধীন কিছমত আমখাওয়া মৌজার লংকার চর সকাল বাজারস্থ ১২৯ নং বিআরএস এর ৫১৬ ও ৫১৭ নং দাগের ১৬ শতাংশ জমি আমি এবং আমার ভাই-বোনেরা ওয়ারিশ সূত্রে মালিকানা প্রাপ্ত হয়ে ৫ টি দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছি। ভাড়াটিয়ারা সেখানে মুদি দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের দোকান দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সহযোগীরা আমার কাছে প্রথমে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না পেয়ে তারা রাস্তা তৈরির নাম করে আমাদের জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করতে থাকে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে জামালপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে মামলা চলমান আছে। মামলা করায় প্রতিপক্ষরা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে চলতি মাসের ২১ জানুয়ারি রাতে আওয়ামী লীগ নেতা সামছুল আলমের নেতৃত্বে ওই এলাকার জসমত আলীর ছেলে হাসান আলী (২৫), মৃত আছর উদ্দিনের ছেলে সাহার আলী নাদু (৪০), মৃত উসমান শেখের ছেলে জসমত আলী (৫৫), সহিদুর রহমানের ছেলে আকতার হোসেন ওরফে রুবেল (২৭), হাবিবুর রহমানের ছেলে হাবিজুর রহমান (২৫), আব্দুর গফুর মন্ডলের ছেলে শাহিন মিয়া (২৫), আব্দুর রহিমের ছেলে জহুরুল হক (৩৭), ইউসুফ আলী মাস্টারের ছেলে মোজাম্মেল হক (৩০), সাহার আলী নাদুর ছেলে শাকিল মিয়া (২০), অছিউজ্জামানের ছেলে শাহার আলী (৪৫), জুড়াল মিয়ার ছেলে রবিচান মিয়া (৪৪) সহ অজ্ঞাত আর অর্ধশত লোকজন দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে দোকান ঘর ভাংচুরসহ ৫ টি দোকানে থাকা প্রায় ৫৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার সময় ত্রিপল নাইনে কল দিলে ত্রিপল নাইন থেকে দেওয়ানগঞ্জ থানার ওসিকে অবহিত করা হয়। এর আগে উপজেলার সানন্দবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুর রহিমকে ফোনে বিষয়টি জানানো হলেও পুলিশ কোনো সাড়া দেননি। শুধু তাই নয় ঘটনারপর দেওয়ানগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করার পরেও এখন পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেননি।
এসময় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য সন্ত্রাসী সামছুল আলম ও তার সহযোগী হাসান আলীর শাস্তির দাবি করেন ভুক্তভোগী আমানত আলী।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আমানত আলীর স্বজনরাসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার বিভিন্ন সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দেওয়ানগঞ্জ থানার ওসি নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার সময় অনেক রাত হওয়ায় সেখানে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে পরদিন পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অভিযুক্ত সাবেক মেম্বার সামছুল আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
মেহেদী হাসান
জামালপুর।
২২-০১-২০২৫