31 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪

নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার দর্শক টানার আর কোনো টোপ পেলো না!! : বোরহান

কিশোর বয়স থেকেই মার্ভেল সিরিজি এর ফ্যান আমি। তার মাঝে আয়রন ম্যান ও থর ছিলো আমার একটু বেশি প্রিয়। সেই সুবাদে ক্রিস হেমসোয়ার্থও পছন্দের তালিকায় থাকা একজন নায়ক। সোস্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা দেখে এবং নিজের দেশ এর কাহিনি সংশিলষ্ট আছে শুনে দেখার আগ্রহ জাগলো ক্রিস হেমসওয়ার্থ অভিনিত “এক্সট্রাকশন ২০২০” সিনেমাটি। যার প্রথম নামকরন হয়েছিলো “ঢাকা ২০২০”। এভেঞ্জারস ইনফিনিটি ওয়ার ও এন্ডগেম এর পরিচালক ‘জো রুসো‘ স্যার লিখেছেন স্ক্রিপ্ট। এটাও বাড়তি আগ্রহ যোগ করে আমার মধ্যে। সাধারনত সিনেমা দেখতে বসলে আমি একাগ্র চিত্তে মন দিয়ে দেখি একটানা। একশন দৃশ্য, ক্যামেরার কাজ ও কারিগরী দিকগুলো ছিলো অসাধারন। হতেই হবে মার্ভেল সিরিজের সিনেমা করা লোকজনের কাজ। অসাধারণ একশন আর ক্যামেরার কাজ। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য যে কোন দেশের নাগরিকই কোনো দ্বিধা ছাড়াই উপভোগ করতে পারবে।প্রিয় নায়কের এই সিনেমাখানাও দেখতে বসেছিলাম এক রাশ বিনোদন ও ভালোলাগার অনুভুতী পাবার লোভে। কিন্তু ছবির মাত্র ১৫-২০ মিনিট পর থেকে বার বার ব্রেক নিতে বাধ্য হলাম। (Spoiler alerts. যারা দেখেন নি সিনেমাটি তারা এটা পড়লে গল্প সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে যাবেন তাই পরে পড়তে পারেন।) গল্পের প্লট ও আবহ তৈরির ব্যাপারে হোচোট খেয়েছি। সিনেমার অনেকগুলো অসঙ্গতি চোখে পড়লো যা একজন বাঙ্গালীর চোখ দিয়ে না দেখলে কেউ বুঝতে পারবে না। ৬৫ মিলিয়ন ডলার বা ৫০০ কোটির বেশি টাকা খরচ করা সিনেমাতে এই ভুল বা অন্যায় গুলো মেনে নেয়াটা কষ্টকর। ডিরেক্টর একটু সচেতন হলেই এড়াতে পারতো বা তারা ইচ্ছে করেই এটা করেছে। যেমন কমন কিছু ব্যাপার,-

বাংলাদেশ এ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর কিছু পুলিশ সদস্য তাদের এক্টিভিটিস, আছে কিন্তু তাদের গায়ের পোষাকের রঙ আমাদের পুলিশের পোষাকের সাথে মেলানো কষ্ট হয়ে গেলো। যাই হোক সেটা অত সিরিয়াসলি নিলাম না যে হয়তো বিদেশী ডিরেক্টর তাই অত খেয়াল করতে পারে নাই। এরপরে যখন দেখলাম পুলিশের গাড়ি হিসেবে যেগুলো উপস্থাপন করেছে সেরকম গাড়ি কখনই আমাদের পুলিশ প্যাট্রলিং এ ব্যাবহার হয় না। গাড়িতে পুলিশের যে লোগো লাগিয়েছিলো সে লোগো ইহ জনমে আমি দেখি নাই দেশের কোনো পুলিশ সংশ্লিষ্ট কিছুতে।

বাংলাদেশ এর মাদক ব্যবসায়ী আছে অনেক বড় বড়, টেকনাফের। তবে সে দেশের কালচার যেমন বা বাস্তবতা যেমন সেরকম লুক দিতে হবে। কিন্তু সিনেমার ভিলেন এর চামচা গুলোকে দেখে আপনি সোমালিয়ার জলদস্যু দের কথা মনে করবেন। ছোট ছোট শিশুদের হাতে একে-৪৭ অস্ত্র তুলে লুটেরা বাহিনি বা আইএস জঙ্গির মত অস্ত্র হাতে ঘুরে বেড়ায় দিন দুপুরে। মেক্সিকো আর এ্যামেরিকার যে পার্থক্য পর্দায় দেখে থাকি আমরা, বাংলাদেশে ও ভারতের একই পার্থক্য দেখাতে চাওয়া পরিচালকের ধৃষ্টতা বৈকি।

সিনেমাটা দেখলে আধুনিক দুনিয়ার যে কেউ ধরে নেবে বাংলাদেশও আফগানিস্তান, ইরাক বা আফ্রিকার মত বিদ্ধস্ত, সন্ত্রাস পূর্ন একটা দেশ। যতটা বাজে অবস্থা আসলে না। আমাদের দেশের পথ শিশুরা সর্বোচ্চ রাস্তায় নেশা করে পড়ে থাকে বা টোকাইর কাজ করে। কিন্তু এতটা ভয়াবহ বেয়াদপ বা সন্ত্রাসী কাজে জড়িত না।

“বোরহান তোমাদের বাংলাদেশের পিচ্চিরা এত ভয়ংক!! আগে বলনাই তো। এক্সট্রাকশন দেখলাম।”

আমার এক এ্যামেরিকান অভিনেত্রী বান্ধবী তো বলেই বসলো, “বোরহান তোমাদের বাংলাদেশের পিচ্চিরা এত ভয়ংক!! আগে বলনাই তো। এক্সট্রাকশন দেখলাম।” তখন আরো উপলব্ধি করলাম যে ক্রিস হেমসওয়ার্থ এর যত ভক্ত আছে এবং যারা এই সিনেমা দেখবে সবাই এই একই ধারনা পাবে।এরপর আসে বাংলাদেশ এলিট ফোর্স নামে কাল্পনিক একটা বাহিনী, যার প্রধান বাংলাদেশি ড্রাগ ডিলারের কথায় নাচে আর বসে। সে প্রধান পুরো ঢাকা শহর লকডাউন করে দেয় ওয়ার্লেস এ একটা কমান্ড করে যাষ্ট। পুরো শহরে আর্মি, পুলিশ, র‍্যাব সহ প্রশাসনিক অনেক লোকজন নেমে যায় নায়ক এবং ছোট্ট একটা বাচ্চাকে খুন করার জন্য। কিন্তু মজার ব্যাপার এতকিছু হচ্ছে দেশের সরকার কিছু জানে না, সংবাদ মাধ্যম গুলো জানে না কিছু, এমনই প্রকাশ পেলো সিনেমার ভাবে। বাংলাদেশ ড্রাগ ডিলার এর কথায় হয়ে যচ্ছে সব। আর সেই ড্রাগ ডিলারকে আগে পিছে সবসময় প্রোটোকল দেয় এলিট ফোর্সের দুটো স্কর্ট গাড়ি! Really !! বাংলাদেশে যারা সাধারন মানুষ কিন্তু ভিআইপি তারা পর্যন্ত স্কর্ট গাড়ি পায় না অনেক সময়। আর যারা পায় তারা পুলিশের গাড়ি পায় স্কর্ট গাড়ি হিসেবে। এলিট ফোর্সের গাড়ি কখনই প্রোটোকল দেয় না। স্ক্রিপ্ট রাইটার হয়তো গল্প লিখেছেন কিন্তু ডিরেক্টর কি গল্পটা নিয়ে একটু গবেষনা করবেন না ? যে দেশে ঘটনা সেটার বাস্তাবতা আগে জানবেন না?

সেনাবাহিনীর কথা যখন আসে আরো অবাক হই যে এখানে সেনাবাহিনী কেনো নামালো। আর সেনাবাহিনি কেনো এলিট ফোর্সের লোকের কথায় নামলো। সেনাবাহিনি কি হুট করে নেমে পড়ে? সেনাবাহিনির ড্রেস কি আন্দাজে ব্যাবহার করা যায়? মানে ব্যাপারটা বুঝলাম না, কেনো পুলিশ মরছে কেনো সেনাবাহিনী মরছে কেনো এলিট ফোর্স মরছে। এখানে তো জাতীয় কোনো ইস্যু দেখানো হয় নি, তাহলে কেনো দেশের সমস্ত প্রশাসন লড়ছে আ্যামেরিকান এক ভাড়াটে লোক এর বিরুদ্ধে। আর তারা এভাবে দেশে কিভাবে এলো ভিসা পাসপোর্ট কিছু নেই হুট করে অ্যাামেরিকান হেলিকপ্টার নিয়ে চলে এলো আ্যামেরিকা থেকে। বাংলাদেশ কি একেবারে চালচুলোহীন নাকি, যে বিদেশী হেলিকপ্টার ঢুকলো আর এয়ারফোর্স কিছু বললো না। মানলাম একশান মুভি, কিন্তু এরকম নেশাখোর লজিক বর্তমানে বাংলা ছবি বা ভারতের তামিল মুভিতেও দেয় না কখনো। সেখানে যদি দেখাতো হাজার হাজার বাংগালী সন্ত্রাসী গুলি করে মেরে ফেলছে মেনে নেয়া যেতো। গল্পের প্রয়োজনে এটা মানানস। কিন্তু একটা বাচ্চাকে আর আ্যামেরিকানকে মাদক সম্রাটের পক্ষ হয়ে মারতে নেমেছে গোটা বাংলাদেশের প্রতিরক্ষ ব্যাবস্থা। ভাবতেই অবাক লাগে, এভাবে গল্পটা সাজালো কোন গোপন উদ্দেশ্য। নেটফ্লিক্স কি ইন্ডিয়ার দর্শক টানার আর কোনো টোপ পেলো না!!

 

ডন হিসেবে এক্টর সিলেক্ট এ ও ছিলো ভুল। অডিশন নেয়া উচিত ছিলো। যখন বাংলা বলছিলো মনে হচ্ছিলো একটা বিদেশী প্রতিবন্ধী জোর করে বাংলা বলার চেষ্টা করছিলো। বাংলার মানুষের জন্য সিনেমাটা না বানালে অন্য কথা। সব মাপ! যদি আপনার দর্শক আমরাও হই তবে আপনি আসলেই বুলশিট বানিয়েছেন। অভিনেতা অভিনেত্রীদের মধ্যে একজনকেও বাঙ্গালী মনে হয় নি। কাষ্টিং ডিরেক্টর “সারাহ ফিন” যে কিনা এভেঞ্জারস, থর, স্পাইডার ম্যান, ব্লাক প্যান্থার সহ অসংখ্য নামকরা সিনেমার কাষ্টিং করেছেন। তিনি কিভাবে এই ভুলটা করলেন বাছাই পর্বে। ভেবে নিয়েছিলেন কোলকাতা ও ইন্ডিয়া থেকে নেওয়া সহকারি কাষ্টিং তেস জোসেফ মহিলাটা, প্রোডাকশন ম্যানেজার ও সহকারি পরিচালকেরা যেটা বলছে সেটাই ঠিক। কিন্তু ওনার বোঝা উচিত ছিলো যে ভারতের তারা বাংলাদেশকে ভালো কিছু দিতে চায় নি, নেগেটিভ গোজামিল দিয়ে গেছে । চাইলে অবশ্যই তারা গবেষনা করতো অথবা বাংলাদেশ থেকে কিছু লোক নিয়ে যেতো। কিন্তু তারা তা না করে চেষ্টা করেছে হলিউড টিমকে নিজেদের মত করে বোঝাতে এবং সব তাদের মধ্যে রাখতে। রাখ ভালো কথা কিন্তু তাও তো পারলো না ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে। এই ভারত থেকেই যদি দক্ষিনী সিনেমার কিছু লোকজনকে নিতো ঠিকই তারা ফুটিয়ে তুলে দিতো শতভাগ বাংলাদেশের আবহ, শুধু কাষ্টিং না, আর্ট ডিজাইনেও, সেট ডিজাইনেও বলিউডের লোকেদের চেয়ে ভারতের অন্যান্ন স্টেট সিনেমার লোকজন অনেক যোগ্য। যাই হোক সারা ফিন কাষ্টিং এ না হয় ভুল করলো। কিন্তু সব দ্বায় ডিরেক্টরের ঘড়ে বর্তায়। স্বাভাবিক স্টান্ট ম্যান আর ডিরেক্টর তো একি জিনিস না। জ্বি হ্যা স্যাম হারগ্রেভ মূলত স্টান্ট ম্যান। থর, এভেঞ্জারস, সহ অসাধারন সব একশান সিনেমা তিনি স্টান্ট ম্যান ছিলেন। কিন্তু ভাই একটা কথা মনে রাখতে হবে স্টান্ট আর পরিচালনা এক নয়। একজন পরিচালক একজন বিজ্ঞানী, একজন পরিচালক একজন দার্শনিক, একজন পরিচালক একজন অনুভূতির শ্রষ্টা। জেমস ক্যামেরন, ক্রিস্টোফার নোলান, স্টিফেন স্পিলবার্গদের মত পরিচালকদের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন। যাই হোক আপনার কথা একটু পরে বলছি।

এখানে আমাদের বাংলাদেশের কিছু লোকের ও গাফিলতি থাকা অস্বাভাবিক নয়। বাংলাদেশ থেকে প্রোডাকশন মানেজার হিসেবে ছিলেন লাইলি আলমেইডা ও তারিক আনাম খান (বাংলাদেশি অভিনেতা)। তারেক ভাই এর আগে এভেঞ্জারস এজ অব আল্ট্রন এর কিছু শুটিং যখন চট্টগ্রামে হয় তখন ঐ ছবির বাংলাদেশ অংশের সুপারভাইজর ছিলেন। উনারও তো একটু খেয়াল রাখা উচিত ছিলো এই বিষয় গুলো শুটিং এর সময়। নাকি টাকা পাইছেন কাজ করছেন দ্বায়ীত্ব শেষ। লাইলি আলমেইডা লোকটার তো জন্মই শ্রিলঙ্কায় কিন্তু সে বাংলাদেশের অংশের প্রোডাকশান ম্যানেজার হলো, তাই হয়তো এইসব ভুলগুলো শুধরে দেওয়ার কেউ ছিলো না। তবে তারেক ভাই আপনি দ্বায় এড়াতে পারেন না। এই সব আপনার সামনেই হয়েছে, দেশের ভাবমূর্তি একটু মাথায় রাখতেন। এই সিনেমা দেখে তো বিদেশিরা আমাদের সোমালিয়া বা আফগান সদৃশ্য দেশ ভাবা শুরু করবে। আপনি দেখলেন যে ভাষা, প্রশাশন, লোকেশন, গল্প সবই বিপরিত মুখি তারপরেও কেনো পরিচালক বা সংশ্লিষ্ট লোকদের একটু বুঝিয়ে বললেন না। নাকি দু হাত কচলাতে কচলাতে সময় চলে গেছে।

কষ্টিউম এর দ্বায়ীতে ছিলো কৃতি মালহোত্রা (ভারত), দুজন সহকারি পরিচালক অনন্যা রানি, ধাভাল সাদরানি দুজনই ভারতের। একজন আর্ট ডিরেক্টর রভি শ্রিভাস্তব সেও ভারতের। তো আমার কথা হচ্ছে বাবা তবে গল্পটা ভারতেই সারতেন। বাংলাদেশের আবহ ফুটায় তুলবেন কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যোগ্য সহযোগী নিলেন না, তাহলে চাইলেও তো আপনি পারবেন না গল্প ফুটাতে। নিলেন বিশ্বাস করে তারিক আনাম খান কে, যিনি শুধু টাকা আর ক্যারিয়ারটা মনে হয় বড় করে দেখলেন।

এবার আসি পরিচালকের কথায়, আপনি থর সিনেমা, এভেঞ্জারস ও মার্ভেল এরকিম কিছু সিনেমার স্ট্যান্ট ছিলেন বা মারামারি দৃশ্যের কোরিওগ্রাফার গ্রুপের একজন ছিলেন। সেই সুবাদে ক্রিস হেমসওয়ার্থ এর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাকে মানিয়ে ফেললেন নিজের প্রথম ছবিতে অভিনয়ের জন্য। এরপর এভেঞ্জার্স এর ডিরেক্টর রুসো স্যার এর কাছে গেলেন স্ক্রিপ্ট লেখাতে। এরপর তার লেখা স্ক্রিপ্ট নিয়ে নেমে পড়লেন। মজার বিষয় মার্ভেল সিনেমার এ পর্যন্ত যত অভিনেত, অভিনেত্রী ও সিনেমা সংশ্লিষ্ট লোকজন ছিলেন সকলের মুখে মুখে তখন ভারত এবং বিশেষ করে বাংলাদেশ এর নাম সিনেমার টার্গেট দেশ এর কারনে। কিন্তু ডিরেক্টর সাহেব বাংলাদেশকে খুব বাজে ভাবে উপস্থাপন করলেন। আপনার উচিত ছিলো একজন প্রকৃত পরিচালক এর মত গবেষণা করা। এ দেশে এসে বোঝার চেষ্টা করা। আপনি প্রয়োজনে এ দেশের প্রশাসন এর সাথে যোগাযোগ করতেন। কিছু বাংলাদেশের অভিজ্ঞ লোক নিতেন আপনাকে তথ্য দেওয়ার জন্য। তারিক আনাম কে নিয়েছিলেন কিন্তু ওই লোক প্রশাসনের কাছে আপনাকে নিয়ে যাওয়া তো দুরে থাক, সে সেটা ভাবেনই নি। কারন উনি ছিলেন উনার কমিউনিকেশন বাড়ানোর চিন্তায়। তিতা হলেও সত্য পরিচালক স্যাম হারগ্রেভ আপনি আমাদেত প্রিয় ‘থর’ কে অপব্যাবহার করেছেন নিজের প্রথম সিনেমায়। আপনার স্টান্ট এবং এ্যাকশন দৃশ্য অসাধারণ ছিলো। আপনি সত্যি একজন দুর্দান্ত একশান কোরিওগ্রাফা, কিন্তু আপনি একজন পরিচালক হয়ে উঠতে পারেন নি। আপনি আপনার গল্পে জীবনবোধ তুলে আনতে সক্ষম হন নি। বাংলাদেশ এর নামটা ব্যবসার কথা চিন্তা করে শুধুমাত্র যুক্ত করা হয়েছে। দেশে মুভিটির চিত্রায়ন হয়নি,কোনো অভিনেতাও বাঙ্গালী নন, যে গান বাজানো হচ্ছে সেগুলোও হিন্দি ভাষার। ক্রিস হেমসওয়ার্থ এর জনপ্রিয়তাকে ব্যাবহার করে সস্তায় সিনেমা হিট করার চেষ্টা করে গেলেন। প্রিয় নায়ক কে এভাবে কখনো বাজে উপস্থাপন এ দেখবো ভাবতে পারিনি। আপনি বাংলাদেশের থর ভক্তদের কথা ভাবলেন না। সে দেশের দর্শকদের আবেগটা বুঝলেন না। ঢাকা যে আধুনিক একটা নগর সেটা দেখেও না দেখার ভান করলেন!

তবে আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর, বাংলাদেশ পুলিশ ও সরকারের সংশ্লিষ্ট লোকদের এর তীব্র প্রতিবাদ জানানোর আহবান জানাবো। এবং এ নিয়ে যদি নেটফ্লিক্স এবং পরিচালক এর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করার দরকার হয় আন্তর্জাতিক আদালতে সেটাও করতে প্রস্তুত আমি। বাংলাদেশ থেকে যারা এতে জড়িত ছিলো তাদেরও প্রশ্নবিদ্ধ করা উচিত। সিনেমা একটি আয়না, সে আয়নায় যা দেখাবেন বিশ্ববাসী তাই দেখবে। তাই আমরা কখনোই মেনে নেবো না অযৌক্তিক ভাবে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করা।

লেখক বোরহান খান, তরুন প্রযোজোক ও নির্মাতা। ঢাকা।

- Advertisment -

সর্বশেষ সংবাদ