31 C
Dhaka
বুধবার, জানুয়ারি ২২, ২০২৫

ডাসারে অধ্যক্ষ সহ বারোজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার ডি.কে.আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমী এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মানি ভাতা গ্রহন, ক্লাসরুমে প্রাইভেট পড়ানো এবং একই কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে দীর্ঘ কয়েকমাস অনুপস্থিত থেকে বেতন উত্তলোন ও ১২জন শিক্ষক কোয়ার্টারে থেকে ভাড়া পরিশোধ না করা সহ তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে তাদের এ অনিয়মের অভিযোগ সাধারন জনগনের মাঝে জানাজানি হলে টক অপ দ্য উপজেলায় পরিনত হয়েছে।
অপরদিকে অভিযহক্ত ওই সকল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল। তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এছাড়াও রয়েছে অনিয়মের ব্যাপক অভিযোগ।

জানা যায়, উপজেলার ডি.কে.আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমী এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান কলেজ শাখা থেকে বেতনের সাথে সম্মানি ভাতা বাবত পনেরো শত টাকা প্রতিমাসে গ্রহণ করেন এবং একই প্রতিষ্ঠানের স্কুল শাখা থেকেও মাসে পঁচিশ শত টাকা গ্রহণ করেন। তিনি ক্লাস চলাকালীন সময়ে কলেজ রুম ব্যবহার করে নিয়মিত ভাবে প্রাইভেট পড়িয়ে আসছেন।
ওই প্রতিষ্ঠানের সাবেক অধ্যক্ষ মমতাজ বেগম দীর্ঘ কয়েক মাস কলেজে উপস্থিত না হয়েও নিয়মিত প্রতিমাসের বেতন ভাতা উত্তলন করে আসছেন।
এছাড়া ওই কলেজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান, শিক্ষক মাহতাব হোসেন, ফায়জুল্লাহ,মোঃ শফিকুল ইসলাম, মোঃ রবিউল আলম,ফরহাদ হোসেন, দৌলাতুন নেছা,উমা দাস,মোঃ ওসমান গনি সহ বারোজন শিক্ষক বেতনের সাথে বাসা ভাড়ার টাকা গ্রহণ করলেও দীর্ঘ মাস প্রতিষ্ঠানের কোয়ার্টারে বসবাস করে ভাড়া না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

অন্যদিকে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নাইট গার্ড পদে প্রায় ১৭ বছর পূর্বে আব্দুল হাকিম নামে এক ব্যক্তির নিয়োগ হলেও তার পরিবর্তে চাকরি করেন
আয়নাল নামে অন্য একজন।

এদিকে তাদের এ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ সাধারন জনগনের মাঝে জানাজানি হলে টক অপ দ্য উপজেলায় পরিনত হয়েছে।
অপরদিকে অভিযুক্ত ওই সকল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বেশ কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি ক্ষোভের সংগে বলেন, সুনামধন্য অত্র প্রতিষ্ঠানের কতৃপক্ষের সঠিক নজরদারি না থাকায় বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। যে কারনে দিনদিন কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থী। তাই আমরা অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাই।

নৈশপ্রহরী আয়নাল বলেন, আমি আব্দুল হাকিমের পরিবর্তে চাকরি করি।

সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মমতাজ বেগম বলেন,অফিসিয়াল কাজে আমাকে বেশির ভাগ সময় ঢাকা থাকতে হয়।

শিক্ষক মাহতাব হোসেন বলেন, ভাড়া না দিলেও কারেন্ট বিল পরিশোধ করে আসছি।

বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান এ ব্যাপারে বলেন,এই কলেজে সভাপতি বর্তমান ডিসি। বক্তব্য প্রয়োজন হলে তার বক্তব্য আপনারা নিয়ে নিবেন।

এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোছাঃ ইয়াসমিন আক্তার বলেন,কলেজের এ বিষয়গুলো আমার জানা নেই। আমি খোজ নিয়ে জানতেছি।

- Advertisment -

সর্বশেষ সংবাদ