31 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪

শেরপুরে মাছ ধরার বাউত উৎসব

ফারুক হোসেন শেরপুর প্রতিনিধি: প্রতিবছর শরতকাল এলেই একদল সৌখিন মৎস্য শিকারী পলো, ঝাঁকি জাল ও ছিপ জাল নিয়ে মাছ শিকার করতে নেমে পড়েন উপজেলার ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে বয়ে আসা খরস্রোতা ভোগাই নদীতে। গ্রামের শতশত মানুষ দলবেঁধে এভাবে একযোগে মাছ শিকার করাকে বলা হয় বাউত উৎসব। এই বাউত উৎসব হেমন্তকাল পর্যন্ত চলে।নালিতাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সৌখিন মৎস শিকারীরা ভোগাই নদীতে এমনই মাছ শিকার তথা বাউত উৎসবে মেতে উঠেছিলেন। তারা উপজেলার হাতিপাগার, নয়াবিল, রাজনগর, বরডুবি, সন্ন্যাসীভিটা, কলসপাড় ও চেল্লাখালী এলাকা থেকে কমপক্ষে ৫০টি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ে ১০/১২ কিলোমিটার দুর থেকে এসে ২৫০ থেকে ৩০০ জনের একদল সৌখিন মাছ শিকারী বাউত উৎসবে অংশ গ্রহন করেন। এসময় তারা উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দর সংলগ্ন ভোগাই নদীর ব্রিজের নিচ থেকে একযোগে পলো, ঝাঁকি জাল, ছিপ জাল ও অন্যান্য মাছ ধরার উপকরণ নিয়ে মাছ শিকার শুরু করতে নদীতে নামেন। এভাবে তারা প্রায় দেড় কিলোমিটার ভাটির দিকে নয়াবিল বাজার এলাকা পর্যন্ত যান। তবে শিকারীরা উল্লেখযোগ্য বড় মাছ শিকার করতে না পারলেও ছোট ও মাঝারি সাইজের মাছ শিকার করেন।উপজেলার হাতিপাগার গ্রামের খোকন মিয়া (৩০), মনির মিয়া (২৮) ও হাবিবুর রহমান (২৯) বলেন, বাউত উৎসবে আগত মৎস শিকারীদের সাথে আমরাও অংশ গ্রহন করেছিলাম। তবে তেমন বড় মাছ ধরতে পারিনি। বড় মাছ ধরতে না পারলেও সবাই শখ করে একযোগে মাছ ধরার বাউত উৎসবে অংশ গ্রহন করেছি। এখানেই আমাদের অনেক আনন্দ লাগছে। আমরা সকলেই উৎসব মেতে অনেক খুশি হয়েছি। আমরা প্রতি বছর এই বাউত উৎসবে অংশ গ্রহন করি।তারা আরো জানান, ভোগাই নদীতে সম্প্রতি পাহাড়ি ঢলের বন্যা ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। একই সাথে নদী অনেক গহীন হয়েছে। তাছাড়া পানিও তেমন কমেনি। যে কারনে আজকে কেউ বড় মাছ শিকার করতে পারেননি। তবে এ মাসের মাঝামাঝি ও শেষের দিকে আরো কয়েক দফা বাউত উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। আশা করা হচ্ছে সে সময় বড় বড় মাছ ধরা পড়বে।

- Advertisment -

সর্বশেষ সংবাদ