বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি সদ্য বিদায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
রোববার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে গণভবনে নতুন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানকে জেনারেল র্যাংক ব্যাচ পরিয়ে দেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
রোববার দুপুরে সেনাসদর দপ্তরে বিদায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ নতুন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ- জামানকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।
শফিউদ্দিন আহমেদকে ফুল দিয়ে বিদায় জানান সেনাসদর দপ্তরের কর্মকর্তারা। ফুলসজ্জিত গাড়িতে বিদায় দেয়া হয় তাকে।
এর আগে সকালে বিদায়ী সেনাপ্রধান শিখা অনির্বাণে পুস্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
গত ১১ জুন তিন বছরের জন্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নতুন প্রধান হিসেবে নিয়োগ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ১৯৮৫ সালের ২০ ডিসেম্বর ১৩তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ এবং যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন।
এছাড়াও, তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মাস্টার্স অব ডিফেন্স স্টাডিজ’ এবং যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ‘মাস্টার্স অব আর্টস’ ইন ডিফেন্স স্টাডিজ ডিগ্রি অর্জন করেন।
৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের পাশাপাশি নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এবং সাভার এরিয়া কমান্ডার, সেনাসদরে সামরিক সচিব এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ ছাড়াও, তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।