মোঃ সহিদুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টারঃ
র্যাব প্রাতিষ্ঠানিক সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে । জঙ্গি, সন্ত্রাসী, সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, অস্ত্র, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী, প্রতারক, হত্যা এবং ধর্ষক মামলার আসামিসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
র্যাব-৫ এর একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অসহায় মানুষ ও নির্যাতিত মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট এর চৌকস আভিযানিক দল ১৩ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানাধীন ঘোষনগর এলাকা থেকে ৪২.৫ কেজি গাঁজাসহ ধৃত মাদক ব্যবসায়ী ১। মোহাম্মদ আলী (৭০), পিতা-মৃত আজগর আলী, ২। মোছাঃ মনোয়ারা বেগম (৫০), পিতা-মৃত মোজাফফর মিয়া কে গ্রেফতার এবং পলাতক আসামী ১। মোঃ বকুল হোসেন (৪৪), পিতা-মোহাম্মদ আলী, ২। মোঃ আবু সাঈদ (৩৫), পিতা-মোহাম্মদ আলী, সকলের সাং-ঘোষনগর, থানা-পত্নীতলা, জেলা-নওগাঁ।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোহাম্মদ আলী ও মনোয়ারা বেগম এক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তারা উভয়ে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে নিজ বসত বাড়িতে মজুদ রেখে পলাতক আসামী বকুল ও সাঈদ এর মাধ্যমে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করতো।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল উক্ত ব্যক্তিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। ১৩-০৪-২০২৪ ইং তারিখে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার পত্নীতলা ধানাধীন ঘোষনগর এলাকায় উক্ত আসামীদের নিজ বসত বাড়িতে মজুদ রাখা মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের সময় র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর একটি চৌকশ আভিযানিক দল মোহাম্মদ আলী ও মনোয়ারা কে আটক করে এবং বকুল ও সাঈদ কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ধৃত মোহাম্মদ আলী ও মনোয়ারা‘র বসত বাড়ি তল্লাশি করে অবৈধ মাদকদ্রব্য ৪২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
মাদকসেবী ও মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
