31 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪

কিশোরগন্জে ফিটনেস বিহীন সিএনজি চলে মান্থলি টোকেনে

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে অভিনব কায়দায় চাঁদা বাজি, ফিটনেস বিহীন সিএনজি চলে মান্থলি টোকেনে। বিআরটিএর হিসাব মতে আঞ্চলিক মহা সড়কে থ্রী হুইলার চলছে প্রায় পনের হাজার।

কিশোরগঞ্জ জেলা সদর সহ বিভিন্ন উপজেলা সড়কে সরকারী বিধি বিধানের উপেক্ষা করে ফিটনেস বিহীন অবৈধ গাড়ী চলে মান্হলি চাঁদার টোকেনে। সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারালেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মাসোয়ারা পাওয়ায় তারাও নিরব।
জেলা শহরের বএিশ বাসষ্টেন্ড ও একরামপুর বাসস্ট্যান্ড ও নগুয়া বাসষ্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন কারণে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

জানাগেছে একরামপুর হয়ে করিমগঞ্জ নিয়ামতপুর চামড়া, বালিখোলা থেকে প্রতিদিন ছয়হাজার সিএনজি আপ-ডাউন করে গাজীপুর পর্যন্ত। এসব গাড়ীর অধিকাংশের নাম্বার প্লেট নেই যা কিছু থাকলেও তার নেই কোন নবয়ন। বিআরটিএ কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান এর দপ্তরের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী নিবন্ধিত সিএনজিচালিত থ্রিহুইলার এর সংখ্যা ৩৬৫১ টি তা ও অর্ধেক এর চেয়ে বেশী প্রায় ৬৫% অনবায়িত আছে। রাস্তায় নিয়মিত মোবাইল কোর্ট করে গাড়ী জব্ধ করলে তা নিয়মিত হতো। মোবাইল কোর্ট সদর এলাকায় মাঝেমধ্যে করা হয়ে থাকে বলে জানান।

অনিবন্ধিত গাড়ী কিভাবে রাস্তায় চলে তা প্রশ্ন করলে জেলা ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর মোঃ শাহজাহান উওর না দিয়ে এড়িয়ে গিয়ে জবাবে বলেন আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। হাইওয়ে পুলিশ এর সংগে কথা বলতে বলেন।

অনিবন্ধিত সিএনজি মালিক বা চালক দের লাইসেন্স করতে অনিহা কেন জানতে চাইলে তারা নাম অপ্রকাশের শর্তে ভিডিও বার্তায় বলেন ভৈরব থেকে কিশোরগন্জ পর্যন্ত প্রতি গাড়ী একহাজার টাকা দিয়ে মান্থলী টোকেন কিনতে হয়। নতুবা গাড়ী চলতে দেয় না পুলিশ। বক্তব্যের পক্ষে সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য আঞ্চলিক মহাসড়কের দায়িত্বে নিয়োজিত কটিয়াদি হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম এর সংগে যোগাযোগ করতে আসলে তিনি বিষয়টি মানতেই নারাজ। পুলিশ কোন টাকা তোলে না। এই টোকেন সম্পর্কে হাইওয়ে পুলিশ ওয়াকেপবহাল নয়।
আইন বহির্ভূতভাবে টাকা উওোলন করা আইনে বৈধ কিনা প্রশ্নের উওর না দিয়ে তিনি অপ্রাসঈীক কথা শুরু করে দেন।
এব্যাপারে জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন হাইওয়ে পুলিশ এর টোকেন বাণিজ্যের কারণে পরিবহন সেক্টরের আজ এই করুণ দশা। সিএনজি পাঁচ জন যাএী নিয়ে গাজীপুর টংগী চলে যায়। বাস কোচ কিভাবে চলবে?
অথচ সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগ দেখলে শ্রমিক ও জনগণ নিরাপদ হতো সরকারও পেত বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। বন্ধ হতো সিন্ডিকেটের হাতে থাকা টোকেন বাণিজ্য।


- Advertisment -

সর্বশেষ সংবাদ