31 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪

সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন মারা গেছেন

মাদারীপুর প্রতিনিধি
সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ও মাদারীপুর-৩ আসনের ৪ বারের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবুল হোসেন মারা গেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন….)
মঙ্গলবার রাত ২ টার দিকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সৈয়দ আবুল হোসেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ভাগনে ও ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, তার দুই মেয়ে বিদেশে অবস্থান করছেন। তারা দেশে এলে তারপর জানাজার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপতত এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।
সৈয়দ আবুল হোসেন এক স্ত্রী খাজা নার্গিস, দুই মেয়ে সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন এবং সৈয়দা ইফফাত হোসেনসহ অসংখ্য গুনীজন রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে ডাসার, কালকিনিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সৈয়দ আবুল হোসেন ১৯৫১ সালে মাদারীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশায় একজন রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালী একজন ব্যবসায়ী। আবুল হোসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর তিনি সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরমধ্যে ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেন।
২০১১ সালের ২৮ এপ্রিল পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের চুক্তি সই করে সরকার। কিন্তু বছরের শেষ দিকেই তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পরে ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি যোগাযোগমন্ত্রীর পদ থেকে সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগ করেন। সেতু বিভাগের তৎকালীন সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকেও দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হয়। এ সময় তাদেরকে গ্রেপ্তারের দাবিও ওঠে। যদিও ওই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সেতুর ঠিকাদার নিয়োগে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদন দেয় দুদক। কিন্তু ৩০ জুন পদ্মা সেতুর ঋণ চুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। তবে ৯ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।পরবর্তীতে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগে কানাডার আদালতে একটি মামলা হয়। দীর্ঘ ৫ বছরের দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি কানাডার আদালত জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক ঋণ বাতিল করেছিল, তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

- Advertisment -

সর্বশেষ সংবাদ