31 C
Dhaka
বুধবার, মে ৮, ২০২৪

মিরপুর ১০ নাম্বার বিহারী ক্যাম্পে মাদক বিরোধী উঠান-বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে

গত শনিবার রাতে পল্লবী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মফিজকে ১০০ গ্রাম হিরোইন সহ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাতে এলাকা বাসি সোচ্চার হয়ে উক্ত এলাকার বিহারির সকল নেতা, ঢাকা উত্তরের ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সহ পল্লবী থানা ও ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ নেতা সহ এলাকায় বসবাসকারী সকলে মিলে এই উঠান-বৈঠক করেন।

গত কয়েক মাস যাবৎ মাদক ব্যাবসায়ী মফিজ ও তার ছেলে হাসান এবং আলীর অত্যাচারে অতিষ্ট এই বিহারী ক্যাম্পের বাসিন্দারা। এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানতে পারি এই মফিজ ও তার ছেলেরা যখন-তখন যে কাউরো উপর চড়াও হয় মারধর করে প্রতিবাদ করতে গেলে মারধর করে রক্তাক্ত করে এমন অনেক অভিযোগ আছে তবে তাদের অবৈধ মাদকের টাকার কাছে অসহায় এলাকার সাধারণ বাসিন্দা।এলাকা বাসীর দাবি মফিজের মাদকের টাকায় ক্রয় করা কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি আছে এই সম্পত্তি গুলোর সুষ্ট তদন্ত করে বায়োযপ্ত করা।এলাকাবাসী বলেন নাম ধারী বিহারি নেতা আবরার আহমেদ খান সহ আরও কিছু মানুষ এই মফিজ এর ইন্ধন দাতা এদেরকে ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

বিহারীর নেতা গুড্ডু বলেন মাদক কে বা কারা বেঁচে এইটা থানার মোটামোটি লোকজন জানেন। তবে আমি দেখি আমাদের ১৮ নাম্বার লাইনের মাথায় পুলিশের পোশাক ছাড়া কিছু লোকজন দাঁড়িয়ে থাকে তাদের সাথে চিহ্নিত সোর্স দেড় নিয়ে দশ জন মাদক কিনে বের হলে পুলিশ ধরে ৫ জনকে আর যারা এই মাদকের মুলহুতা তারা থাকে ধরা ছোয়ার বাহিরে এ তাই মাদক ব্যবসায়ীরা জোর গলায় বলার সাহস পায় যে পুলিশ প্রশাসন তাদের হাতের মুঠোয়।

বিহারীর অন্য আরেক নেতা আজিম বলেন এই মফিজ ও তার ছেলেরা কিছু দিন যাবৎ যাকে তাকে ধরে মারধর করে যাচ্ছিলো কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করে নাই গত কালকে এক নিরীহ ছেলেকে মেরে মাথা ফাটিয়া জখমকরে এতে এলাকা বাসীর সোচ্চার হয়।এই প্রতিবাদ ও সোচ্চার সবসময় হওয়া উচিত।এই মাদক সম্রাটের একশোর উপরে বাড়ি আছে এই সকল বাড়ির বিরুদ্ধে ও অ্যাকশন নেওয়া উচিৎ।
আসিফ ইকবাল বলেন আমাদের এলাকার মাদক ব্যাবসায়ীদের প্রভাব এতটাই সক্রিয় ও শক্তিশালী হয়েছে যে তারা জোর গলায় বলে বেড়ায় থানা পুলিশ হাতের মুঠোয় ডিসি,ওসি তাদের বন্ধু এই সকল কথা কিভাবে কোন সাহসের বলে তারা বলে তা আসলে আমার বুঝে আসে না।থানা যদি কঠোর ভূমিকা পালন করে তাহলে এই সকল মাদক ব্যাবসায়ীর অস্তিত খুঁজে পাওয়া যাবে না।
কাউন্সিলর কাজী জহুরুল ইসলাম মানিক বলেন এই মাদক একটি পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্যে যথেষ্ট তাই আমি এই ওয়ার্ডের অভিবাবক হিসাবে কখনো চাইবো না যে আমার সন্তান বা আমার ভাই কেউ মাদক আসক্ত হোক।তিনি আরও বলেন আজকে মাদকের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর ঐক্যবদ্ধতা দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে আপনারা এই ভাবে ঐক্যবদ্ধ ভাবে থাকলে আমি আশা করি খুব শীগ্রই এই ওয়ার্ডকে মাদক নির্মূল করতে সক্ষম হবো।মাদকের সাথে কোনো রকম আপোষ করা যাবে না এবং এইটার সাথে যদি কেউ জড়িত থাকে আমি তাকে ছাড় দিবো না।এই মাদক নির্মূলে উপস্থিত সবার এবং এলাকাবাসীর সহযোগীতা কামনা করি।
উক্ত উঠান-বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাদাকাত খান ফাক্কু,বাবলু,মোক্তার, মোশতাক, লাড্ডান,জামিল,টিঙ্কু,হালিম মোল্লা, সামসুল আলম সহ এলাকাবাসী।

- Advertisment -

সর্বশেষ সংবাদ