মুন্সী ইউসুফ, কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় চাইল্ড সেন্টার এন্টিসিপেটরি এ্যাকশন প্রকল্পের আওতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাগোনারী’র উদ্যোগে লার্নিং-শেয়ারিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় কুয়াকাটার অভিজাত আবাসিক হোটেল মিয়াদ ইন্টারন্যাশনালের কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, জার্মান ফেডারেশন ফরেন অফিসের অর্থায়নে সেইভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ-এর সার্বিক সহায়তা ও রাইমস্-এর কারিগরি সহায়তায় প্রকল্পটি পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার ৪টি ও কলাপাড়া উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।
প্রকল্পের ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ মো. মনিরুজ্জামান প্রিন্সের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপজেলা সিপিপির সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান খান। এসময় ডালুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ জিহাদীর সভাপতিত্বে প্রকল্পের লক্ষ্যও উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলেন সেইভ দ্য চিলড্রেন অফিসার সঞ্চিতা হালদার।
জাগোনারী’র প্রকল্প কর্মকর্তা কিশোর কুমার দাসের সঞ্চালনায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানবৃন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাকসুদুল আলম, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস হোসেন, উপজেলা বনবিভাগ কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম, কলাপাড়া রাডার স্টেশন ইনচার্জ আব্দুল জব্বারসহ বেসরকারি সংস্থা কর্ড এইড, কারিতাস, সিআইপি আরবি ও গুড নেইবারস-এর কর্মকর্তাবৃন্দ।
উপস্থিত সকল অতিথিবৃন্দ দূর্যোগের প্রস্তুতির বিষয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন, পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তাদের মতামত তুলে ধরেন। কর্মশালায় অংশীজনদের সমন্বয়ে তিনটি দলে ভাগ হয়ে গ্রুপ ওয়ার্ক করা হয়। প্রতিটি দলের উপস্থাপনায় বেশ কিছু অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশমালা উঠে আসে, যা অত্র প্রকল্পের কার্যক্রমকে আরো সামনের দিকে নিয়ে যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
জাগোনারী’র প্রকল্প কর্মকর্তা কিশোর কুমার দাস বলেন, ‘জাগোনারী বরগুনার একটি সংস্থা। ২৬ বছরের পথ চলায় সংস্থাটি অত্র অঞ্চলের দুর্যোগের অগ্রগামী হিসেবে কাজ করে আসছে। আমরা জাগোনারী’র লিডারশিপে অত্র এলাকায় দুর্যোগ এন্টিসিপেট প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করছি। সেইভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ-এর সার্বিক সহায়তা ও রাইমসের কারিগরি সহায়তায় দুর্যোগের আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাকৃতিক ঝড়, বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে পটুয়াখালীর এই নিম্নাঞ্চল বিভিন্ন সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ক্ষতির হাত থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী জেলে, কৃষক ও দিনমজুরসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে দুর্যোগের আগাম সচেতনতার বার্তাটি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আগাম প্রস্তুতির কোনো বিকল্প নেই। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আমাদের বেশ কিছু ভালো অর্জন ও চ্যালেঞ্জ ছিলো; যেগুলোকে আমরা এড্রেস করতে পারছি এবং যেগুলো কাটিয়ে উঠে আমরা সামনের দিনগুলোতে খুব ভালোভাবে কাজ করতে পারবো বলে আশা করছি।’
অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন জাগোনারী’র ফাইন্যান্স ও এডমিন কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন, প্রকল্প কর্মকর্তা লাইজু আক্তার, মিল অফিসার মারিয়া আক্তার জিন্টু, সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা মো. ফিরোজ মাহমুদ, জাকিয়া আক্তার, মো. রহমতউল্লাহ রাজু, আব্দুল লতিফ, গাজী মো. ওবায়দুল্লাহ ও মো. জিন্নাত আলী।